Cvoice24.com

অভিযানে ভাটা, খুচরা বাজারে মানা হচ্ছে না সরকারি মূল্য  

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১২, ১৯ এপ্রিল ২০২১
অভিযানে ভাটা, খুচরা বাজারে মানা হচ্ছে না সরকারি মূল্য  

রমজানে পণ্যের দাম সহনীয় অবস্থায় রাখতে ছয়টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও খুচরা বাজারে মানছে না এই নির্দেশনা, বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন মাঠে থাকেলেও বাজার তদারকিতে ভাটা পড়ায় সেই সুযোগটাই নিচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। যদিও বিক্রয়মূল্যে পার্থক্য পেলে অবশ্যই তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ছোলা, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন ও খেঁজুর। যদিও বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ ভালোই রয়েছে। তাই এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ক্রেতাদের।

ছোলা প্রতি কেজি ৬৩ থেকে ৬৭ টাকায় বিক্রি করার নির্দেশনা থাকলেও খুচরা পর্যায়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি করা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার উপরে। প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১৩৯ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। 

প্রতি কেজি চিনির দাম ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও খুচরা বাজারে মানভেদে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দামে, কেজিপ্রতি ৪০ টাকা।

খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোজার সময় পেঁয়াজ, চিনি, ছোলা, ভোজ্য তেলের চাহিদা বেড়ে যায়। ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পণ্য আনতে হয়। কিন্তু লকডাইনে গণপরিবহণ সংকট থাকায় মাল আনতে গিয়ে অনেক বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। তাই দাম একটু বাড়তি।

রিয়াজউদ্দিন বাজারে পণ্য কিনতে আসা মোকাম্মেল হক সিভয়েসকে বলেন, ‘সরকার পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রেতারা তা মানতে নারাজ। তাদের যুক্তিরও শেষ নেই। আমাদেরও পণ্যের প্রয়োজন, না কিনে উপায় নেই। তাই বাড়তি দরে পণ্য কিনতে হচ্ছে। সরকারকে বাজার তদারকি আরও জোরদার করতে হবে। না হয় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে।’

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন সিভয়েসকে বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হতেন। অথচ অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বা অজুহাত পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই সরকারকে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক সিভয়েসকে বলেন, ‘পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রতিদিন আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আজকেই রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করব। সরকার নির্ধারিত বাজার দরের সাথে বিক্রয়মূল্যে পার্থক্য পেলে অবশ্যই তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ও লকডাউন সফল করতে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। যারা মাস্ক পরছে না তাদের জরিমানা ও সাধারণ মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। পণ্যের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

-সিভয়েস/টিএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়