Cvoice24.com

নামিদামি কোম্পানির মজুদে বাড়ছে চালের দাম— অভিযোগ চট্টগ্রামের পাইকারদের

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ২০ অক্টোবর ২০২১
নামিদামি কোম্পানির মজুদে বাড়ছে চালের দাম— অভিযোগ চট্টগ্রামের পাইকারদের

দেশের নামিদামি কোম্পানিগুলো কম দামে মিল থেকে চাল কিনে বেশি দামে বিক্রির জন্য মজুতের কারণে দিনদিন চালের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রামের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। 

পাইকারদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানগুলো ব্র্যান্ডভ্যালুকে পুঁজি করে কম দামে মিলগুলো থেকে চাল সংগ্রহ করছে। প্যাকেটজাত করে এসব চাল আবার প্রতি প্যাকেটে প্রায় ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে খোলা বাজারে ছাড়ছে। নামিদামি কোম্পানিগুলো মজুদ বাড়িয়ে দেওয়ায় প্রভাব পড়েছে বাজারে। নতুন করে দাম না বাড়লেও স্বাভাবিক দামে ফিরেনি পাইকারি বাজার। ফলে বস্তাপ্রতি বাড়তি ১শ থেকে দেড়শ টাকা বাড়তি দাম পরিণত হয়েছে স্বাভাবিক দরে। এসবের মাশুল গুনতে হচ্ছে খুচরা বাজারেও।  

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন সিভয়েসকে বলেন, পাইকারিতে নতুন করে চালের দাম বাড়েনি। মাসখানেক আগে বস্তাপ্রতি ১শ থেকে দেড়শ টাকা বেড়েছিল, সেটাই এখন স্বাভাবিক দাম। চালের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট তো আছেই। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের ব্র্যান্ডভ্যালুকে কাজে লাগিয়ে প্যাকেটজাত চাল বিক্রি করছে। ৮০ টাকায় ভালো মানের চাল কিনে ১শ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছে। ফলে তাদের একদিকে বিপুল পরিমাণে লাভ হচ্ছে, অন্যদিকে তারা প্যাকেটজাত করতে বেশি করে চাল মজুদ করছে। তবে পাইকারি বাজারগুলোতে সরবরাহ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে। সামনে পৌষ মাস আসছে। আশা করছি সামনের মৌসুমে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ বাড়বে, দামটাও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসবে। 

পাহাড়তলী পাইকারি চালের বাজারে বর্তমানে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) জিরাশাইল চাল (বাসমতি) ২ হাজার ৭শ থেকে ২ হাজার ৮শ টাকা, মোটা চাল ১ হাজার ৮৫০, বেতি আতপ ২ হাজার ২শ থেকে ২ হাজার ৩শ, মিনিকেট আতপ ২ হাজার ৪শ থেকে ২ হাজার ৪৫০ ও চিনিগুঁড়া চাল মানভেদে ৩ হাজার ৫শ থেকে ৪ হাজার ২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

এদিকে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতিবস্তা জিরাশাইল ২ হাজার ৭শ টাকা, মোটা চাল (বেতি) ১ হাজার ৭শ, বেতি আতপ ২ হাজার ২শ, মিনিকেট আতপ ২ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া পাইজাম ২ হাজার ৩শ, নাজিরশাইল ২ হাজার ৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন সিভয়েসকে বলেন, বর্তমানে শুধু চাল নয়, সবধরনের পণ্যের দামই বাড়তি। তেলের লিটার এখন ১৬০ টাকা হয়েছে। দুবেলা দুমুঠো ভাতেই সাধারণ মানুষের সন্তুষ্টি। তাই অন্তত চালটা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার বিষয়ে জোরালোভাবে চিন্তা করার সময় এসে গেছে। চালের বাজারে সক্রিয় সিন্ডিকেটকে ভেঙ্গে দিতে হবে। বাজারে তদারকি বাড়াতে হবে। তাহলে মানুষ অন্তত খেয়ে বেঁচে থাকবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়