Cvoice24.com

তাণ্ডবের মামলায় হেফাজত নেতাকর্মীদের নাম না থাকার ব্যাখ্যা আইজিপির

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ৩১ মার্চ ২০২১
তাণ্ডবের মামলায় হেফাজত নেতাকর্মীদের নাম না থাকার ব্যাখ্যা আইজিপির

ফাইল ছবি

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের বিরোধীতা করে বিক্ষোভে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এঘটনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে তাণ্ডব চালায় তারা। কিন্তু এসব তাণ্ডবের ঘটনায় মামলা হলেও হেফাজতের কোনও নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলায় নাম দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। 

তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা মুখ না খুললেও পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বুধবার (৩১ মার্চ) ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা অনস্পট ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমাদের দেশে কোনও কাজ হলে দশ রকম কন্ট্রোভার্সি হয়। আমরা এক্ষেত্রে চাইনি এরকম কিছু হোক। তদন্ত চলছে। তদন্তে হেফাজতের নেতাদের বা নির্দেশদাতাদের নাম আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কাউকে বাদ দেইনি।’

আইজিপি বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দিন হেফাজত সারা দেশে তাণ্ডব চালায়। প্রথমে বায়তুল মোকাররম, পরবর্তীতে চট্টগ্রামের হাটহাজারি থেকে। আমাদের কোমলমতি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা হয়েছে। হাটহাজারি থানায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা আক্রমণ করেছে। এর আগেও এই থানায় তারা আক্রমণ চালিয়েছে। ভূমি অফিসে আক্রমণ করেছে। ডাকবাংলোতে আক্রমণ করেছে। ভূমি অফিসের সব কাগজপত্র একত্র করে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এতে ওই অঞ্চলের মানুষ বছরের পর বছর কষ্ট পাবে। 

আইজিপি বলেন, ‘হাটহাজারিতে আমাদের একজন শিক্ষনবিশ এএসপিকে অপহরণ করে তারা নিয়ে যায়। তাকে বেধম মারধর করা হয়। একজন ডিএসবি সদস্যকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের হত্যার জন্য মারধর করা হয়।’

হামলার উদ্দেশ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান পণ্ড করা।’

এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে হেফাজতের তাণ্ডবের পাঁচ দিন পর এসে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানা ভবনে হামলা, ভূমি অফিসে ভাঙচুর, ডাকবাংলোয় আগুন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে। একই অভিযোগে পটিয়াতেও আরেকটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার রাতে হাটহাজারী থানায় পুলিশ চারটি, পটিয়ায় একটি ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা দুটি মামলা দায়ের করেন। তবে প্রায় দুই হাজারজনকে আসামি করা হলেও কারো নাম ছিল না এসব মামলায়। সাত মামলার সব আসামিই অজ্ঞাত। 

থানায় হামলার অভিযোগে করা মামলায় অজ্ঞাত ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার জনকে করা হয়েছে। ভূমি অফিসের করা দুই মামলায় অজ্ঞাত ২০০ জন করে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা থানায় হামলা চালালে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। হাটহাজারীতে চারজন নিহত হন। নিহতের জেরে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা হাটহাজারী থানা, ডাকবাংলো, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হামলা চালান। তাঁরা হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কের ওপর দেয়াল তৈরি করে তিন অবরোধ করে রাখেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়