Cvoice24.com

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই— সংসদে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই— সংসদে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে জনিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বগুড়া-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য বিসিএস বাদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নানা ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি। ওই সব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখ নির্ধারণ করার অনুরোধ করা হয়।

জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে বিএনপির সাংসদ মোশাররফ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে নেই বললেই চলে। ফলে, শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি, ২৩ থেকে ২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকেন। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তাঁরা চাকরিতে আবেদনের জন্য ছয় থেকে সাত বছর সময় পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দু–এক বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, সম্প্রতি সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এ কারণে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে যাঁদের বয়স ৩০ বছরের বেশি, তাঁরা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও ৩০–এর কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

সরকারি দলের আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ২৮–৩৯তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ৩৫ হাজার ৬০৩ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ করেছে। এ সময়ে নন–ক্যাডার প্রথম শ্রেণির পদে ৫ হাজার ১৪৩ জন ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৫ হাজার ৭৪৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে পিএসসি।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়