Cvoice24.com


আইনজীবী ফাহাদ খান একজন সীল সম্রাট!

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ১৯ আগস্ট ২০২০
আইনজীবী ফাহাদ খান একজন সীল সম্রাট!

আইনজীবী হলেও ফাহাদ খান দেশের কোনো বারের (আইনজীবী সমিতি) সদস্য নন। অথচ বারের সদস্য পরিচয়ে আদালতে মামলা পরিচালনা করে আসছেন।

বুধবার (১৯ আগষ্ট) ৫৮ টি সীলসহ তাকে আটক করেন জেলা আইনজীবী সমিতির টাউট উচ্ছেদ কমিটি।

সমিতি সুত্র জানায়, ৫৮ টি সীলের মধ্যে সমিতির সেক্রেটারি থেকে শুরু করে সিটি মেয়র, বিভিন্ন আদালত, পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক ব্যাক্তি, নোটারী পাবলিক, নকল খানা ও কাপড়ের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সীল মোহর রয়েছে। যেগুলো ব্যবহার করে তিনি সাধারণ বিচার প্রার্থীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন।

এসব বিষয় সিভয়েসকে নিশ্চিত করে জেলা আইনজীবী সমিতির পাঠাগার সম্পাদক মো. আলী আকবর সানজিক বলেন, ফাহাদ খান একজন সীল সম্রাট ও প্রতারক। একজন ভোক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সমিতির টাউট উচ্ছেদ কমিটি আটক করেন এবং তার চেম্বার থেকে ৫৮ টি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সীল মোহর উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ সে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি শুধু নয়, দেশের কোনো বাররই সদস্য নয়।

আইনজীবী সানজিক আকবর বলেন, সম্প্রতি পান্না ধর নামের একজন নারীর কাছ থেকে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জাল সীল মোহর মেরে টাকা আত্মসাৎ করেন ফাহাদ খান। এসব কাজ একমাত্র টাউটরাই করে থাকেন। এসব একজন আইনজীবীর কাজ হতে পারে না কখনো। যার কারণে টাউট উচ্ছেদ কমিটি তাকে আটক করেন।

জেলা আইনজীবী সমিতি সুত্র জানায়, আটকের পর ফাহাদ খানকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। সমিতির এজিএস কবির হোসেন বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেন। এমন অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

উল্লেখ্য, আদালত পাড়ায় টাউটদের কার্যকলাপ মনিটরিং করেন জেলা আইনজীবী সমিতির টাউট উচ্ছেদ কমিটি। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে বা কাউকে টাউট হিসেবে শনাক্ত করা গেলে এ টাউট উচ্ছেদ কমিটি ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। করোনা সংকটের আগে হাসনা বেগম নামের একজন টাউটকেও আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন টাউট উচ্ছেদ কমিটি। হাসনা বেগম আইনজীবী পরিচয় দিয়েই আদালত পাড়ায় ঘুরে বেড়াতেন।

সিভয়েস/এসএইচ/এসসি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়