Cvoice24.com


নগদ থেকে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা লাভের ভাগ পেল ডাক বিভাগ

প্রকাশিত: ১৮:২৫, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
নগদ থেকে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা লাভের ভাগ পেল ডাক বিভাগ

করোনার কারণে সবকিছুতে যখন মন্দাভাব ঠিক সেই সময়ে নগদ থেকে এক কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৬ টাকা লাভের ভাগ পেল ডাক বিভাগ। 

আজ রোববার ডাক বিভাগের সদ্য নির্মিত ডাক ভবনে এক অনুষ্ঠানে মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের হাতে এই চেক তুলে দেন ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক। সদ্য শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সেবার ওপর থেকে আয়ের অংশ হিসেবে ‘নগদ’ ডাক বিভাগকে এই অর্থ প্রদান করে। ডাক বিভাগ তার অন্যকোনো সেবা থেকে কখনো নেট আয় না পেলেও ‘নগদ’-এর যাত্রার মাত্র দেড় বছরের মাথায় তারা পেয়ে গেল বাড়তি এই আয়। কোনো ধরনের বিনিয়োগ না করেই আয়ের অংশ পাওয়া ডাক বিভাগের জন্যমএক অনন্য নজির।

‘নগদ’-এর মাধ্যমে ডাক বিভাগের এমন আয় সামনের দিনে ডিজিটাল আর্থিক সেবার দুয়ারকে আরো সম্প্রসারিত করবে।

এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রসহ ‘নগদ’-এর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমত সারা দেশের ওপর কোভিড-এর মতো অতিমারির আক্রমণ, দ্বিতীয়ত প্রতিদ্ব›িদ্বতার দিক থেকেও আছে একচেটিয়াত্বের দাপট। এসব কিছুর পরও নিজেদেও সেবার মান বাড়িয়ে কোভিড-এর মধ্যেও আয়ের চাকা সচল রাখে ‘নগদ’। আর তা থেকেই আসে এই আয়।

এই অঞ্চলে ডাক সেবার ২০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো সেবা থেকে এমন আয় জমা পড়ল ডাক বিভাগের অ্যাকাউন্টসে। শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ডাক বিভাগের আয়-ব্যয়ের হিসেব এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ডাক বিভাগের আয় আর ব্যয়ের মাঝে ঘাটতি ছিল ৪৩৩ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ডাক বিভাগের লোকসান হয় ৪৩৬ কোটি টাকা।

স্বাধীনতার পর প্রথম বছরও ডাক বিভাগের শুরু হয়েছিল লোকসান দিয়ে। সেবার এক কোটি ৬০ লাখ টাকার লোকসান দিয়ে বাংলাদেশের ডাক বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। তারপর থেকে সময় যত গড়িয়েছে, ঘাটতির পরিমাণ ততই বেড়েছে। তবে ‘নগদ’-এর মতো ডিজিটাল আর্থিক সেবা চালু হওয়ায় গোটা ডাক বিভাগও যেন নতুন করে জেগে ওঠার সুযোগ পেয়েছে।

‘নগদ’ এর এই সাফল্য যাত্রায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মূহুর্ত। ডাক বিভাগ এমন অর্জন করতে পারবে, এটা অকল্পনীয় ব্যাপার ছিল। আমার বিশ্বাস ‘নগদ’-এর এই পথ ধরেই সামনের দিনে ডাক বিভাগ ঘুরে দাঁড়াবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আদলে সরকারি সহায়তার সঙ্গে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ইনোভেশনে যুক্ত হয়ে প্রায় অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে।’

এমএফএস সার্ভিস থেকে ‘নগদ’ এখন একটি ডিজিটাল ব্যাংকে পরিণত হওয়ার স্বপ্নও দেখছে। সেটি হলে দেশের সব মানুষকে সহজেই ডিজিটাল আর্থিক সেবার মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

কোভিড-এর সময় সেবা চালু রেখে মানুষের জীবন-যাত্রাকে সহজ করতে কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে যেকোনো কর্মী আক্রান্তহলে পাঁচ লাখ টাকার ঝুঁকিভাতার ঘোষণা দেয় ‘নগদ’। এর মধ্যেই একেরপর পর এক সরকারি সহায়তা গ্রাহকেদের পৌঁছে দেওয়া এবং নতুন নতুন সেবা নিজেদের প্ল্যাটফর্মেযুক্ত করে মানুষে ঘরে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘নগদ’। সেই ধারাবাহিকতায়ই আয় বাড়তে থাকে ‘নগদ’-এর।

এসব বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, “শুরু থেকেই আমরা মানুষের চাহিদাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আমাদের সেবা কাঠামো সাজিয়েছি। সে কারণে সবচেয়ে কম খরচে সর্বাধুনিক সেবা নিয়ে আসতে পেরেছে ‘নগদ’। আর তার ফলস্বরূপ সেবা শুরুর মাত্র এক বছরের মধ্যে ‘নগদ’-কে বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল ডিজিটাল আর্থিক সেবা হিসেবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় পোস্টাল ইউনিয়ন স্বীকৃতি দিয়েছে। সেই দিন বেশি দূরে নয়, যখন ‘নগদ’-এর মাধ্যমেই গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। আর ‘নগদ’-ই হবে দেশের জাতীয় ডিজিটাল আর্থিক সেবা সংস্থা।”

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়