Cvoice24.com


৯ মিটার উচ্চতায় হবে কালুরঘাট সেতু, মার্চে উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৭ অক্টোবর ২০২০
৯ মিটার উচ্চতায় হবে কালুরঘাট সেতু, মার্চে উদ্বোধন

কালুরঘাটে সড়ক কাম রেল সেতুুর প্রস্তাবিত নকশা নিয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সাথে রেলওয়ের যে সংকট চলছে তা অচিরেই নিরসন হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। সেটা আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই কেটে যাবে এবং তাদের আপত্তির প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত ৭ দশশিক ২ মিটার থেকে ৯ মিটার পর্যন্ত রেলওয়ে সেতুটি উচু করা হতে পারে বলেও জানান তিনি। সব মিলিয়ে ৬ সদস্যের কারিগরী কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আগামী বছরের মার্চে এ সড়ক কাম রেল সেতুর কাজ দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। 

বুধবার সকালে নির্মিতব্য কালুরঘাট সেতু পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা জানান মন্ত্রী। এরআগে মন্ত্রী সকাল ১০ টার পর পায়ে হেঁটে কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় এমপি মোছলেম উদ্দিন আহমদসহ রেলওয়ে ও প্রশাসনের উধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক পথসভাতেও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।  

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, 'কালুরঘাটের বর্তমান সেতুর উজানেই নতুন করে সড়ক কাম রেল সেতুটি হবে। সব কিছু ঠিক হলেও নৌপরিবহন অধিদপ্তর উচ্চতা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তারা তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুটির সমান ১২ দশমিক ২ মিটার উচ্চতা চায়। আর প্রস্তাবিত সেতুটি ৭ দশমিক ২ মিটার। তাই একটু জটিলতা তৈরি হয়। আমরা যৌথ কারিগরী টিম গঠন করেছি, তারা কাজ করছে। নতুন সেতুটি ৯ মিটার পর্যন্ত উচু করার সুযোগ আছে৷ তাদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা হবে। এটি ডাবল লাইন সড়ক ও এক লাইন রেল পথের সেতু হবে৷ ১২০ কিলো স্প্রিডে ট্রেন চলবে আর আর ৬০ কিলো স্প্রিডে গাড়ি চলতে পারবে৷ সেতুটির মোট প্রস্থ হবে ২০ ফুট।'

রেলপথ মন্ত্রী আরও বলেন, 'তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু থেকে কালুরঘাট সেতুর দূরত্ব অনেক দূরে। এখানে বড় জাহাজ তেমন আসেনা। ৯ মিটার উচ্চতা রাখলে অন্য জাহাজগুলো আসার সুযোগ থাকবে। দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর সেটাও আর নেই৷ ফলে ১৫ দিনের মধ্যেই সব জটিলতা দূর হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ই এ সেতুটি বাস্তবায়ন করবে।'

ব্যয় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, '২০১৮ সালে এ সেতুর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০০ মিলিয়ন ডলার। এখন হয়তো সামান্য বাড়বে। আর এটি কোরিয়ান দাতা সংস্থা ও সরকার যৌথভাবে অর্থয়ান করবে।'
 
এর আগে উচ্চতা বৃদ্ধির বিষয়ে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে। এই কমিটি আজ সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন জমা দিলে বিআইডব্লিউটিএ’র সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। বলা চলে সব সংস্থার সমন্বয়ের করে দ্রুত সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্যই আজ চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু পরিদর্শনে এসেছেন মন্ত্রী।

মূলত রেল কর্তৃপক্ষ ডাবল রেললাইন এবং দুই লাইনের রোড করার জন্য নকশা তৈরি করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত দ্য ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) কাছে পাঠিয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়া এই নকশা পাওয়ার পর রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু টেকনিক্যাল বিষয়ের ওপর মতামত জানতে চেয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ যে নকশা করেছে তাতে সেতুটি অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে সেতুর স্থায়িত্ব কমে যাবে বলে মনে করছে ইডিসিএফ কর্তৃপক্ষ। এই কারনে সেতু নির্মাণ এখন দীর্ঘসুত্রতায় পড়েছে। 

মন্ত্রী আজকে কালুরঘাট সেতু এলাকা পরিদর্শন শেষে সার্কিট হাউজে যাত্রা বিরতি করবেন। বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পাহাড়লীস্থ প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় পরির্দশনে যাবেন। সেখান থেকে সাড়ে ৪টায় মন্ত্রী পাহাড়তলীস্থ ডিজেল ওয়ার্কসপে যাবেন। সেখানে নতুন আমদানিকৃত ১০টি এমজি ডিজেল লোকোমোটিভ সরেজমিনে পরির্দশন করবেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাদেকুর রহমান।

সিভয়েস/এডি/এপি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়