Cvoice24.com


কেজিতে নয় পোয়ায় সবজির বেচাবিক্রি

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ২২ অক্টোবর ২০২০
কেজিতে নয় পোয়ায় সবজির বেচাবিক্রি

বন্যা, বৃষ্টি ও সরবরাহ কম—এমন অজুহাতে লাগাম ছাড়া চট্টগ্রামের সবজির বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে  সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা। স্থিতিশীল নেই মাছ-মাংসের বাজারও।

চাল, পেঁয়াজের সবজির দাম বাড়ায় হতাশ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ প্রশাসনের নজরদারির অভাবে সবজির বাজারেও সিণ্ডিকেট জেঁকে বসছে।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কম ও অতিরিক্ত চাহিদাকেই কারণ হিসেবে দুষছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) নগরের কাজির দেউরি ও বক্সিরহাট বাজার ঘুরে  দেখা গেছে ক্রেতারা কেজিতে নয় পোয়া মাপেই সবজি কিনছেন।

সপ্তাহর ব্যবধানে সব সবজির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা। 
কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি  ৯০ টাকা। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বেচা পটল আজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়, ৬০ টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ৭০ টাকার করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ৭০ টাকার ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, ৮০ টাকার বেগুন ১১০ টাকা,  বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়,  গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৮০ টাকায়। 

শীতের সবজির দামে কেনা যেতে পারে মাংস।  ১৪০ টাকার বাঁধাকপি বেড়ে ১৬০ টাকা, ১৬০ টাকার সিম ২০০ টাকা, ফুলকপি ১৫০ টাকা, মূলা ৯০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা।

দুই দফা দাম নির্ধারণ করেও লাগাম টানা যায়নি আলুর বাজারের। ৩০ থেকে টাকা পাইকারি বাজারের আলু খুচরা বাজারে বেচা হচ্ছে ৪৮-৫০টাকায়।


এদিকে বিভিন্ন সবজির দামে আগুন জ্বললেও দাম কমেছে লাউ, কাঁচা পেঁপে ও তিত করলার। সপ্তাহ ব্যবধানে ১০ টাকা কমে লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা গত সপ্তাহে যার মূল্য ছিল প্রতিকেজি ৬০ টাকায়, কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা, একলাফে ৩০ টাকা কমে তিত করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

স্থিতিশীল রয়েছে শসা, গাঁজরের দাম। শসা কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাঁজর কেজিপ্রতি ১৮০ টাকা কেজি দামে বিক্রয় হচ্ছে। কেজিপ্রতি কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে দ্বিগুনের চেয়ে বেশি। গত সপ্তাহে ১০০ টাকায় বেচা কাঁচামরিচ আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। 

গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকলেও এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম তুলনামূলকভাবে কমেছে। দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। রসুন কেজিপ্রতি ১১০ টাকা ও আদা ১৭০ টাকা। 

প্রতি আঁটি মুলার শাক ৩০ টাকা, গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। লালশাক ৩০ টাকা, গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা। অন্যান্য শাকের বাজার রয়েছে স্থিতিশীল। পালংশাক ২৫ টাকা, কুমড়ার শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

এদিকে সোনালী মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে ব্রয়লার ও দেশি মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ১৪০ টাকা, যা গতসপ্তাহে বিক্রয় হয়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। দেশি মুরগি দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়। সোনালী মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকা।

চাকুরিজীবী আরমান হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় আজকের বাজার বেশ উর্ধ্বমুখী। মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। দাম বাড়ায় অনেক গরিবের বেহাল অবস্থা হবে। আমরা তো কোনভাবে খেয়ে বেঁচে আছি।

সবজির বাজারের এমন অবস্থায় ছাদ কৃষির পরিকল্পনা জানালেন কাজীর দেওড়ি বাজারে আসা নিখিল দত্ত নামে এক ক্রেতা। তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে ছাদ বাগানের কোন বিকল্প নেই। বাজারে আসলে সবজির দাম আর মাংসের দাম একই মনে হয়।


সিভয়স/আরএস

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়