মাইজভাণ্ডার দরবারে ওরশে ভক্তের ঢল

আগামীকাল ২৪ জানুয়ারি গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)’র ১১৮তম ওরশ শরিফ ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মনজিল ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষেও নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।

ওরশে প্রশাসনের হিসাবে ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হতে পারে।  ১০ মাঘ ওরশ শরীফ ঘিরে এক সপ্তাহ ধরে ভক্তরা আসা যাওয়া করেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ মানুষ সমবেত হতে পারে।

রওজা শরিফ গোসল ও গিলাফ চড়ানোর মাধ্যমে উরস্ শরিফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বুধবার প্রধান দিবসের দিন স্ব স্ব মনজিলে কেন্দ্রিয় মিলাদ মাহ্ফিল ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন স্ব স্ব মনজিলের প্রধানরা।

এছাড়া গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন মনজিল নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসনের সাথে আহমদিয়া মনজিল ও গাউছিয়া হক মনজিলের প্রশাসনিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘ওরশ উপলক্ষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, স্পেশাল পুলিশ ফোর্স, ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট পুরুষ মহিলা আনসার টিম আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন মঞ্জিলের সমন্বয়ে আগত আশেক ভক্তের সুবিধার্থে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ওরশ শরীফে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আশেক ভক্ত আসতে শুরু করেছেন। ঢোল বাদ্যের সাথে গরু ছাগল মহিষসহ বিভিন্ন হাদিয়া নিয়ে দরবারে আসছেন তারা।

রওজায় রওজায় চলছে আশেক ভক্তের ইবাদত বন্দেগী, জিকির আজগার, মিলাদ মাহফিল ও জিয়ারত।  ক্যাম্পে ক্যাম্পে ঢোল বাদ্য বাজনা ও মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশন। এক কথায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ। এছাড়া ওরশ শরীফ কেন্দ্র করে বসেছে গ্রামীণ লোকজ মেলা।

মেলায় পোষাক, রকমারি খাবার গৃহস্থালী প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। দা ছুরি বটি,বেত সামগ্রী, বেড়া, চাটাই, মাছধরার ফাঁদ, হাতপাখা, মোড়া, ফুলদানি,হাঁড়ি পাতিলসহ ঘরে ব্যবহারের ব্যবহারের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যায়। তাই মাঘের মেলার জন্য ঘরের বউ ঝিঁয়েরাও অপেক্ষয় থাকে।  স্থানীয়দের পাশাপাশি উপজাতীরাও মেলায় ছুটে আসে।

মেলার অন্যতম আকর্ষণ বড় বড় সাইজের জাপানি মুলা, যা ভাণ্ডারী মূলা নামে খ্যাত। মেলার বিভিন্ন স্থানে জমজমাট মূলা বিক্রির দৃশ্য চোখে পড়ছে।

ওরশ উপলক্ষে গাউসিয়া হক মন্জিল প্রতিষ্ঠিত শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে।