মিরসরাইয়ে নৌকার মনোনয়নে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ নেতার পদত্যাগ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:২৬, ১৪ অক্টোবর ২০২১
মিরসরাইয়ে নৌকার মনোনয়নে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ নেতার পদত্যাগ

চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম জেলায় নৌকার মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড। মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর প্রকাশিত এই তালিকায় মিরসরাইয়ের ১৬ টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২নং হিঙ্গুলী, ৩নং জোরারগঞ্জ, ৯নং সদর মিরসরাই ইউনিয়ন ও ১২ নং খৈয়াছড়া ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ১২ টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যানরা পেয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন। তবে জোরারগঞ্জের চেয়ারম্যান মনোনয়ন কে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা। 

মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্তের তালিকা প্রকাশ পায়। সেখানে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ইমনের পদবী ভুল ভাবে কেন্দ্রে উপস্থাপন করা হয়। কেন্দ্রীয় তালিকায় আনোয়ার হোসেন ইমনের পদবী উল্লেখ করা হয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে। 

এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়ন গুলোতে বর্তমান চেয়ারম্যানের নাম সবার উপরে থাকলেও ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকছুদ আহাম্মদ চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয় শেষের দিকে। এমনকি তার নামের পাশে উল্লেখ করা হয়নি বর্তমান চেয়ারম্যান পদবীটাও। 

বুধবার ১৩ অক্টোবর মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ইমন তার ফেসবুক আইডি থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ বরাবর একটি পদত্যাগ আবেদনপত্র প্রকাশ করেন। যেটি মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে তিনি স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই পদত্যাগ পত্র জমা দেন এবং রাজনীতি না করার ঘোষনা দেন। 

এবিষয়ে আনোয়ার হোসেন ইমন বলেন, ‘আমি ১৯৯৭ সাল থেকে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের ১নং সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করছি। এছাড়া আমার জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। আমার জীবন বৃত্তান্তে উল্লেখ ছিলো আমার রাজনীতির পদ-পদবী। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকা সত্ত্বেও মনোনয়ন বোর্ডে আমার নাম জমা পড়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে।’ 

তিনি বলেন, ‘এটাতে আমার আত্মসম্মান ক্ষুন্ন ও মর্যাদা নষ্ট হয়েছে বলে আমি মনে করি। যার কারণে আমি আমার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে সরে দাড়িয়েছি।’ 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে দায়ী করছি না। তবে ভুলভাবে আমার পদবী উপস্থাপন করায় আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী সিভয়েসকে বলেন, ‘তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ আর হতাশ হয়েছেন। আবেগের বশবর্তী হয়ে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু আবেদনটা গ্রহণ বা কার্যকর করতে হলে কমিটির সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়