Cvoice24.com

নবীনগরের ৮০ বাড়ি এসেছে পাইলট প্রকল্পে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ১ ডিসেম্বর ২০২১
নবীনগরের ৮০ বাড়ি এসেছে পাইলট প্রকল্পে

নবীনগরের ৮০ বাড়িতে বসানো ময়লার বিন

নগরের ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের নবীনগরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষামূলক পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার (১ ডিসেম্বর) ৮০টি বাড়ির ৩০০ পরিবার এ প্রকল্পের আওতায় আসে। এ পাইলট প্রকল্পের সাফল্য এলে পর্যায়ক্রমে পুরো শহরে এর বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে চসিক। বাংলাদেশে এ ধরনের প্রকল্প প্রথম বাস্তবায়িত হবে চট্টগ্রাম শহরে। 

আর্ন্তজাতিক বেসরকারি সংস্থা ‘সেভ দ্যা চিলড্রেন’র অর্থায়নে ইপসার নগরে ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্প প্রয়াস-২ এর মাধ্যমে পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

এদিকে, এই প্রকল্পের আওতায় আসা সব বাসা-বাড়ি নীল রঙের। প্রতিটি বাড়ির সামনে রাখা আছে ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন। নেই কোনো খোলা ডাস্টবিন ও উন্মুক্ত নালা। নির্দিষ্ট করা স্থান ছাড়া যেখানে-সেখানে কেউ ময়লা-আর্বজনা ফেললে ধরা পড়বে সিসিটিভিতে। করপোরেশন এবং স্থানীয় কমিউনিটির দুইজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নির্দিষ্ট সময়ে এসে ডাস্টবিন থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে আবর্জনা। তবে ডাস্টবিনে থাকবে পলিথিন ব্যাগ। ব্যাগে মুড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ডাস্টবিনে ফেলা বর্জ্যগুলো। এতে ডাস্টবিনটিও অপরিচ্ছন্ন হবে না। 

এছাড়া আকস্মিক অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলায় স্থাপন করা হয়েছে ১০ টি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। আবার জনসচেতনতা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য দেয়ালে আঁকা হয়েছে আলপনা। প্রকল্পটির সাথে কাজ করবে তিনটি দল। এর মধ্যে নবীনগর উন্নয়ন কমিটি বর্জ্য কার্যক্রম তদারকি করবেন। এছাড়া মহিলাদের নিয়ে গঠিত টিম সচেতনতা সৃষ্টি এবং শিশুদের নিয়ে গঠিত টিমও অন্য শিশুদের যেখানে-সেখানে ময়লা না ফেলতে উৎসাহী করবেন। 

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার প্রবণতাও বন্ধ হবে। পাশাপাশি বাসা-বাড়ি থেকে সংগ্রহকৃত বর্জ্যরে একটি অংশকে ডাম্পিং করার আগে উৎপাদনশীল খাত হিসেবে চিহ্নিত করে ডাম্পিংয়ের পর রিসাইকেলিং করে বাকি বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা হবে। পলিথিন সভ্যতার অভিশাপ। কর্ণফুলীতে পলিথিন জমাট ও ভারী আবরণের কারণে ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। শহরের নালা-নর্দমা, খাল ও নদী পলিথিনের স্তুপের কারণে জলাবদ্ধতা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

তিনি মশার উপদ্রবে নগরবাসীর অতিষ্ঠতা ও অসহনীয় দূর্দশা সম্পর্কে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, মশা প্রজননের উৎস হলো জমাট পানি ও ময়লা আবর্জনার ভাগাড়। এসব বার বার পরিস্কার করার পরও আবার আবর্জনার ভাগাড় তৈরি হয়। এসবের জন্য অসচেতন নাগরিকরাই দায়ী। তাই নগরবাসীকে সচেতনতার সাথে নগর পরিস্কার রাখার দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান মেয়র।

চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর মোবারক আলী’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, নূর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসি, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ইপসার উপ-পরিচালক নাছিম বানু, সেভ দ্য চিল্ডেন’র ম্যানেজার সাইমুন রহমান, নবী নগর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ইলিয়াছ মিয়া তালুকদার, এবং সাধারণ সম্পাদক এস.এম সেলিম।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়