রোড ডিভাইডারে অটোরিকশার ধাক্কায় নারীর মৃত্যু রাউজানে

চট্টগ্রামের রাউজানে রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লিপি বেগম নামে এক সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চালকসহ আরও ৮ জন। এর মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার গহিরা নোয়া পাড়া রাস্তার মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন— মোহাম্মদ আলী (৩৮), তার স্ত্রী ললিতা বেগম (২৮), তাদের ছেলে হাসান (৭), হোসেন (১), হাসনা বেগম (৩২), তার মেয়ে শারমিন আকতার (১৬), সিএনজি চালক মো. হান্নান (৩৫)। তারা সবাই রাঙামাটি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ঘটনার পর সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. হান্নান পালিয়ে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সিএনজি অটোরিকশাটি রাঙামাটি থেকে আসছিল। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের গহিরা নোয়া রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় সিএনজি অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে চালক-যাত্রীসহ ৮ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে গহিরা জে.কে মেমোরিয়াল হসপিটালে নেওয়া হলে লিপি বেগম নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ৮জনের মধ্যে একই পরিবারের চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপালে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে মোহাম্মদ আলী (৩৮), তার স্ত্রী ললিতা বেগরে (২৮ অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

নিহত লিপি বেগমের ভাগিনা মো. ফারুক বলেন, আমি গত দেড় বছর আগে হাটহাজারী কাচা বাজার এলাকা থেকে বিয়ে করেছিলাম। আমার শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত ছিল, আমার স্ত্রী আগে থেকেই শ্বশুর বাড়িতে। আজ দাওয়াত শেষে আমার স্ত্রীকে নিয়ে ফেরার কথা ছিল। এরমধ্যে এই দুর্ঘটনা। মামি মারা গেছেন, আমার ফুফা, ফুফি ও ফুফাতো ভাই-বোন, মামাতো বোনসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। 

রাউজান হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে একজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। সিএনজি অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে।