বে-টার্মিনাল: বাস্তবায়নের পথে আরেক ধাপ

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
বে-টার্মিনাল: বাস্তবায়নের পথে আরেক ধাপ

প্রস্তাবিত বে টার্মিনাল

চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে আরেক ধাপ এগুলো। বহুল আলোচিত প্রকল্পটি ধীরে ধীরে  আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। বন্দর কর্মকর্তারাই বলছেন এটি এখন আর স্বপ্ন নয়। ভূমি নিয়ে  যে জটিলতা ছিল তা কেটে গেছে। জমি অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে  (১১ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার। ভূমি অধিগ্রহণের প্রথম ধাপের ৬৭ একর জমির ৩৬২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে জেলা প্রশাসনকে। চেক  হস্তান্তর করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ উপলক্ষ্যে নগরীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।উপস্থিত  থাকবেন  নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।  

 
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১২ সালে প্রায় ৯০০ একর জমির উপর প্রথম এই টার্মিনাল  নির্মাণের  উদ্যোগ নেয়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বড় ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো যায়না। বন্দরে বর্তমানে গড়ে দেড় হাজার টিইউইএস কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভেড়ানো হলেও বে টার্মিনাল নির্মাণ হলে চার হাজার টিইউইএস কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভেড়ানো যাবে।


চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ সিভয়েসকে বলেন, বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি বাস্তবায়নের পথে এগুচ্ছে। এই টার্মিনাল নির্মাণ হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমূর্তি বিশ^ নৌ বাণিজ্যে ব্যাপক ভুমিকা  রাখবে। টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে বন্দরের কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে গতিশীলতা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি বৃদ্ধি পাবে প্রবৃদ্ধিও। চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে এই টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে।


চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বে টার্মিনাল প্রকল্পে সাগর তীর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে জেগে উঠা চরের মাঝে নৌ রুট তৈরি করে জাহাজ আনা নেয়া করা হবে।এ চরকে ব্যবহার করে ব্রেক ওয়াটার বা ¯্রােত নিরোধক প্রাচীর তৈরি করা হবে। স্বাভাবিক জোয়ারের পাশাপাশি ঘুর্ণিঝড় জলোচ্ছাসের সময় ঢেউয়ের আঘাত থেকে জাহাজকে রক্ষা করতে পারবে।


যে নৌ পথ ব্যবহার করা হবে তাতে পানির গভীরতা থাকবে গড়ে ৬ থেকে ১০ মিটার। এ টার্মিনালে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে সাড়ে ৮ মিটারের ড্রাফটের বড় জাহাজ ভিড়তে পারেনা।


চট্টগ্রাম বন্দরের ইপিজেড সাগর পাড় থেকে কাট্টলী রাসমনি ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ টার্মিনাল তৈরি করা হবে।এর মধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকবে তিনটি টার্মিনাল।

সিভয়েস/এমডিকে


 

আশরাফ আহমেদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়