চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম ভিড়লো ক্লিংকার বোঝাই বড় জাহাজ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:২২, ২৫ মার্চ ২০২১
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম ভিড়লো ক্লিংকার বোঝাই বড় জাহাজ

ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথমবারের মতো ভিড়েছে সিমেন্ট ক্লিংকার বোঝাই বড় জাহাজ। ২০ হাজার ৪২১ টন ক্লিংকারসহ পরীক্ষামূলকভাবে কর্ণফুলী নদীর ক্লিংকার জেটিতে বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এমভি জাহান ব্রাদার্স’ জাহাজটি ভিড়ে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকালে ‘এমভি জাহান ব্রাদার্স’ জাহাজটি সফলভাবে ভিড়ে চট্টগ্রাম বন্দরে।

জার্মানভিত্তিক হাইডেলবার্গ সিমেন্ট কারখানার কাঁচামাল নিয়ে ১৮৫ দশমিক ৮৪ মিটার লম্বা এবং ৮ দশমিক ২০ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) জাহাজটি জেটিতে আনার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে বন্দরে কর্তৃপক্ষ।  

আগে ১৬১ মিটার দীর্ঘ সিমেন্ট ক্লিংকার জেটিতে ১৬১ মিটার দীর্ঘ ৯ দশমিক ১৪ মিটার ড্রাফটের জাহাজ এবং ১৭০ মিটার দীর্ঘ ৮ দশমিক ৬ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বার্থিং করার বিধান ছিল। বন্দরের প্রধান জেটি হিসেবে বিবেচিত সিসিটি, এনসিটিতে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের ১৯০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ ভিড়তে পারে।  

জানা যায়, বড় জাহাজটি বার্থিংয়ের সময় পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বন্দরের সিনিয়র দুইজন পাইলট- ক্যাপ্টেন রহমত উল্লাহ ও ক্যাপ্টেন কামরুল। জাহাজটি চ্যানেলে ঘোরানোর কাজে বন্দরের শক্তিশালী দুইটি টাগবোট, দুইটি পাইলট ভ্যাসেল সহায়তা করে। 

এসময় বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, উপ সংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলাম, জাহাজের মালিক এসআর শিপিংয়ের এজিএম মুবিনুর রহমান চৌধুরীসহ হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

এসআর শিপিংয়ের এজিএম মুবিনুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘এমভি জাহান ব্রাদার্স জাহাজটি মালয়েশিয়ার লুমুট বন্দর থেকে ৩৩ হাজার ৬০৩ টন সিমেন্ট ক্লিংকার নিয়ে গত ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে। এর জেটিতে আসার ড্রাফট নিশ্চিত করার জন্য ছোট জাহাজে লাইটারিংয়ের মাধ্যমে ক্লিংকার কমানো হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সফলভাবে জাহাজটি ২০ হাজার ৪২১টন ক্লিংকারসহ জেটিতে ভিড়তে সক্ষম হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘এ ধরনের বড় জাহাজ বার্থিং চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি মাইলফলক। যা বন্দরের অধিক মুনাফা অর্জনসহ সার্বিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়