Cvoice24.com

পাইকারি-খুচরাতে বেড়েছে তিন চালের দাম

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ২৬ নভেম্বর ২০২১
পাইকারি-খুচরাতে বেড়েছে তিন চালের দাম

নগরের পাহাড়তলী পাইকারি চালের বাজার। ছবিঃ সিভয়েস

আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রায় সব ধরনের চালের দাম। তবে অন্যান্য জাতের তুলনায় পাইকারিতে বেশি বেড়েছে জিরাশাইল, কাটারিভোগ ও চিনিগুঁড়া চালের দাম। বাজারে বস্তাপ্রতি এ তিন চালের দামই বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এমনকি পাইকারিতে চালের দামের এ ঊর্ধ্বমুখীর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারিতে জিরাশাইল চাল বস্তাপ্রতি ২শ’ টাকা বেড়ে এখন ২ হাজার ৯শ’ টাকায়, কাটারিভোগ চাল বস্তাপ্রতি ৩শ’ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৩শ’ টাকায় এবং চিনিগুঁড়া চাল বস্তাপ্রতি ৪শ’ টাকা বেড়ে ৪ হাজার ৩শ’ থেকে ৪ হাজার ৪শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এ তিন জাতের চাল বস্তাপ্রতি গড়ে ৩শ’ টাকা করে বাড়লেও অন্যান্য জাতের চাল শুধু মাত্র ১শ থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। 

তবে চালের এ ঊর্ধ্বমুখীর কারণ হিসেবে জ্বালানি তেল ও পণ্যবাহী পরিবহনের বাড়তি দামকেই দুষছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে মিল মালিকদের সিন্ডিকেটকেও দায়ী করছেন তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পণ্য পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে প্রায় দেড়গুণ। আগে যেখানে ট্রাকে করে চাল আনতে ১৪ হাজার টাকা ব্যয় হতো সেখানে এখন ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। আর পরিবহনের এ বাড়তি খরচের টাকা গুণতে হচ্ছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন সিভয়েসকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সব ধরনের চাল প্রতি বস্তায় ১শ’ থেকে দেড়শ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চিনিগুঁড়া, জিরাশাইল ও কাটারিভোগ চালে। জিরাশাইলে ২শ’, কাটারিভোগে ৩শ’ টাকা ও চিনিগুঁড়া বস্তায় ৪শ’ টাকা বেড়েছে। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পণ্যবাহী পরিবহনে আমাদেরকে প্রতি ট্রাকে ৪ হাজার টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে। মূলত পণ্য পরিবহনে বাড়তি ভাড়া ও মিল মালিকদের কারসাজির কারণে চালের দর বেড়েছে। বাজারে এখন আমরা পুরাতন চাল বিক্রি করছি। নবান্নের চাল বাজারে এলে আশা করছি দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে চলে আসবে।’

এদিকে খুচরা দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারিতে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। বর্তমানে প্রতিকেজি জিরাশাইল ৬২ টাকায়, কাটারিভোগ ৭৫ টাকায় ও চিনিগুঁড়া ১শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য চালের মধ্যে দুই থেকে তিন টাকা বেড়ে গুটি স্বর্ণা ৪৬ টাকা, মোটা চাল (সিদ্ধ) ৫০ টাকা, আঠাশ জাতের চাল ৫০ টাকা, পাইজাম ৫২ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা, চিকন চাল ৬২ টাকা, মিনিকেট ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরের ঈদগাহ এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাছির বলেন, ‘পাইকার থেকে বাড়তি দামে চাল কিনতে হচ্ছে; সেই সঙ্গে আগের তুলনায় এখন আমাদের বাড়তি ভাড়া গুণে দোকানে পণ্য আনতে হয়। তাই খুচরা বাজারেও চাল বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ 

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার মনিটরিং জোরদার করার দাবি জানিয়ে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এটার পেছনে অবশ্যই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে অবশ্যই এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে।’

-সিভয়েস/টিএম/এমএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়