মাতারবাড়ি প্রকল্প হবে ‘সাব-রিজিওনাল হাব’— বন্দর চেয়ারম্যান

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১২, ২৪ এপ্রিল ২০২২
মাতারবাড়ি প্রকল্প হবে ‘সাব-রিজিওনাল হাব’— বন্দর চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেছেন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি টার্মিনাল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বন্দরের সক্ষমতা প্রায় তিন থেকে চারগুণ বেড়ে যাবে। গতবছর এ প্রকল্পের কাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। মাতারবাড়ি হবে আমাদের ‘সাব-রিজিওনাল হাব’। অপরদিকে বে-টার্মিনালসহ বাকিগুলো হলো ‘সার্ভিস পোর্ট’।

রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটরিয়ামে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৫ বছর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, গত ৩০ মার্চ মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের ২৮৩ দশমিক ২৭ একর জমি চট্টগ্রাম বন্দরকে কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। বন্দর নির্মাণ কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে খুব শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে। মাতারবাড়ি টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ডিপ ড্রাফট ভেসেল ১৬ মিটার বা তার চেয়ে বেশি গভীরতা সম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ গমনাগমন করতে সক্ষম হবে। যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

লাইটার জাহাজের ওয়েটিং টাইম হ্রাস পেয়েছে উল্লেখ করে রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, বন্দরের নিউমুরিং এলাকায় ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড এবং সদরঘাট এলাকায় একটি ৭৫ মিটার লাইটারেজ জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে নির্মিত ৪শ’ মিটার লাইটারেজ জেটি ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর মাধ্যমে সচল করা হয়েছে। ফলে লাইটার জাহাজগুলো কম সময়ে কার্গো খালাস করায় লাইটার জাহাজের ওয়েটিং টাইম হ্রাস পেয়েছে। তৈল জাতীয় পণ্য খালাসের জন্য আরএম-৪ এর স্থলে ডলফিন জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ভোজ্যতেল খালাস সহজতর হয়েছে। 

বন্দরের জলসীমা সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পোর্ট লিমিট সাত নটিক্যাল মাইল থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইলে বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে বন্দরের জলসীমা সাত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ধিত পোর্ট লিমিটের সম্পূর্ণ এলাকা ডিজিটাল টাইডাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে মাদার ভেসেলগুলো ‘রিয়েল টাইম টাইডাল ইনফরমেশন’ এর ভিত্তিতে গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে নিরাপদে বহিনোঙ্গরে যাতায়াত করতে পারছে। বন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় ‘এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম’ প্রবর্তন করা হয়েছে। বন্দর এলাকাকে সিসিটিভি কভারেজের আওতায় এনে সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। বন্দর ফায়ার ফাইটিং ইউনিটকে শক্তিশালী করার জন্য তিনটি ফায়ার ফাইটিং ফোম টেন্ডার এবং একটি রেসকিউ ভেহিকেল সংগ্রহ করা হয়েছে। তাছাড়া রপ্তানি কনটেইনার স্ক্যান করার জন্য দু’টি অত্যাধুনিক স্ক্যানার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান আছে।

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

-সিভয়েস/টিএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়