Cvoice24.com

আমদানি সংকটে অস্থিরতা মসলার বাজারে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২ ডিসেম্বর ২০২২
আমদানি সংকটে অস্থিরতা মসলার বাজারে

আমদানি সংকটে মসলার বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা -ফাইল ছবি

দেশের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেড়েছে মসলার দাম। জিরা, দারুচিনি, এলাচ, আদা, রসুনসহ সব ধরনের মসলার কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দেখালেন পুরনো যুক্তি। পাশাপাশি চাল, তেল, আদা, ময়দায় অস্থিরতা বিরাজ করলেও কমতির দিকে রয়েছে মুরগি ও ডিমের দাম।

ব্যবসায়ীদের দাবি, নতুন করে এলসি খুলতে না পারার কারণে মসলা আমদানিতে স্থবিরতা নেমেছে। তাই সবধরনের মসলার কেজিতে ১শ থেকে ১৫০ টাকা দাম বেড়েছে। মসলা আমদানির সুযোগ তৈরি না হলে সামনে দাম আরা বাড়বে—এমন আশঙ্কার কথাা জানালেন ব্যবসায়ীরা।

খাতুনগঞ্জে হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস সিভয়েসকে বলেন, ব্যাংকে ডলার সংকট রয়েছে। এ কারণে আমদানিকারকরা বিপাকে পড়েছেন। পণ্য আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে মসলাসহ আমদানি নির্ভর অন্যান্য পণ্যের সরররাহ কম। তাই দাম বেড়ে গেছে। এলসি খুলে পণ্য আমদানির ব্যবস্থা না হলে মসলার দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি জিরায় ১২০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকা, ১শ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি দারুচিনি ৪শ টাকা, ১৫০ টাকা বেড়ে কিসমিস ৫শ টাকা, কেজিতে ১শ টাকা বেড়ে এলাচ ১ হাজার ৩শ টাকা, কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে আদা ২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া দেশি রসুন ৮০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 
 
খুচরা বাজারে আগের মতোই চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি মিনিকেট ৭৫ থেকে ৮০, মোটা চাল ৬০, নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৫, কাটারি আতপ ৭৮ থেকে ৮২ ও চিনিগুড়া ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

বাজারে আগের দরেই বিক্রি হচ্ছ সব ধরনের সবজি। প্রতিকেজি শসা ও লম্বা বেগুন ৬০, গোল বেগুন ৮০, টমেটো ১১০, শিম ৫০, করলা ৬০, চাল কুমড়া ৫০, লাউ ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০, পেঁপে ৩০, বরবটি ও ধুন্দুল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ ১৬০ থেকে ২শ, বড় রুই ৩২০, বড় কাতল মাছ ৩শ, শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪শ, বোয়াল মাছ ৩৫০ থেকে ৪শ, পাবদা মাছ ৩৫০ ও কাঁচকি মাছ ৩শ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছ। 

গত দুই সপ্তাহে মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে। এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা দরে। পাশাপাশি প্রতিকেজি সোনালি মুরগি ৩শ ও লেয়ার মুরগি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।

তাছাড়া বাজারে প্রতিলিটার বোতলজাত ভোজ্যতেল ১৯০ ও পাঁচ লিটার ভোজ্যতেল ৯২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি খোলা চিনি ১২০, প্যাকেট চিনি ১০৮ থেকে ১১০, খোলা আটা ৬০ থেকে ৬২ ও প্যাকেট আটা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়