Cvoice24.com

চট্টগ্রামে পর্যটন-বিনোদনকেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড়

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ১ জানুয়ারি ২০২৩
চট্টগ্রামে পর্যটন-বিনোদনকেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড়

বছরের প্রথম সূর্যাস্ত দেখতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে মানুষের ঢল।

পুরনোকে পেছনে ফেলে নতুনের পথে হাঁটার প্রত্যয়ে নতুন বছর শুরু করেছে মানুষ। বছরের প্রথম দিনে কর্মব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে নগরবাসী ছুটেছেন পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, চিড়িয়াখানা ও শিশুপার্কজুড়ে দিনভর ছিল প্রাণের উচ্ছ্বাস। এছাড়া নগরের দর্শনীয় উন্মুক্ত স্থানগুলোও সব বয়সী মানুষের কোলাহলে মুখর ছিল। 

ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনের বেলা গড়াতেই মুখরিত হয়ে ওঠে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকা। স্পিডবোটে, কেউবা ঘোড়ার পিঠে চড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বীচময়। নতুন বছরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকে পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান সৈকতে। বিকাল নামতেই মানুষের সমাগম আরো বেড়ে যায়। এছাড়াও মেরিন ড্রাইভ সড়কও ছিল মানুষে ঠাসা। নেভাল একাডেমিতেও ছিল পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।

পাশাপাশি নগরের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতেও ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। ফয়’স লেকে গিয়ে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন নিয়ে বড় বড় দলে ঘুরেছেন অনেকে। বিভিন্ন রাইড এবং সি ওয়ার্ল্ডে সকাল থেকে ভিড় লেগেই ছিল।

পরিবার নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আসা ব্যবসায়ী মো. হাসান আকবর সিভয়েসকে বলেন, কর্মব্যস্ততার কারণে পরিবার নিয়ে খুব একটা বেড়াতে যাওয়া হয় না। আজ বাচ্চারা নতুন বই হাত পেয়ে উৎফুল্ল। বাসায় এসেই বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার আবদার। তাই পরিবার নিয়ে বছরের প্রথম সূর্যাস্ত দেখতে পতেঙ্গা সমুদ্রে চলে এলাম। 

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় মানুষের সমাগম বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নুর সিভয়েসকে বলেন, আজ বছরের প্রথম দিনে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় জনসমাগম বেড়েছে। তাই পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। মানুষ বাড়ায় আমাদের টহলও বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।  

এদিকে ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, চিড়িয়াখানা ও শিশুপার্কজুড়ে রয়েছে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। ফয়’স লেকে দর্শনার্থীদের প্রথম পছন্দ লেক ভ্রমণের মাধ্যমে প্রকৃতি উপভোগ করা। তাই সেখানে বোটের সংখ্যাও বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি চিড়িয়াখানায় ও ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। ৫০ টাকায় টিকিট কেটে মানুষ দলে দলে ঢুকছেন বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী দেখার জন্য। 

ফয়’স লেকে কথা হয় গৃহিনী সুফিয়া শওকতের সাথে। তিনি বলেন, বাচ্চাদের লেখাপড়ার ব্যস্ততা বেড়ে যাবে। তাই বছরের প্রথম দিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াত বের হলাম। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য খুবই মনোরম। বাচ্চারা বোটে চড়েছে। তারা খুব আনন্দ পেয়েছে। 

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় যাওয়া সানজিদা আফিয়া বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। দুদিন পর ফিরে যাবো। তাই পরিবার নিয়ে সচরাচর ঘুরতে যেতে পারি না। আজ বর হলাম। ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে এসেছি পশু পাখি দেখতে। 

ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ ঘোষ সিভয়েসকে বলেন, আজ প্রায় দেড় হাজার দর্শনার্থী এখানে ঘুরতে এসেছে। সকাল থেকেই ভিড় লেগে ছিল। বাম্পার কার, বাম্পার বোট, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, জায়ান্ট ফেরিস হুইল, ড্রাই স্লাইড, ফ্যামিলি ট্রেইন, প্যাডেল বোট, ফ্লোটিং ওয়াটার প্লে, পাইরেট শিপের মতো মজাদার সব রাইড রয়েছে। এসব রাইডে শিশুদের পাশাপাশি তরুণরাও উপভোগ করছেন। 

বর্ষপঞ্জি প্রথম উদ্ভব হয়েছিল সুমেরীয় সভ্যতায়। মিশরীয় সভ্যতাই সৌর ক্যালেন্ডার আবিষ্কার করে বলে কথিত রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বেরিয়ে আসে যে, খ্রিস্টপূর্ব ৪২৩৬ অব্দ থেকে ক্যালেন্ডার ব্যবহার শুরু হয়। ৩৬৫ দিনে সৌর বর্ষ গণনা করত মিশরীয়রা। তবে ৫৩২ অব্দ থেকে রোমানদের হাত ধরে খ্রিস্টাব্দের সূচনা হয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়