Cvoice24.com

দেশের প্রথম এনাটমি অলিম্পিয়াডে বিজয়ী চমেকের দুই শিক্ষার্থী

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দেশের প্রথম এনাটমি অলিম্পিয়াডে বিজয়ী চমেকের দুই শিক্ষার্থী

একজন শিক্ষার্থী এনাটমি শিক্ষায় যত বেশি দক্ষ হবে, ভবিষ্যতে সে তত বেশি সার্জারি বিজ্ঞানে পারদর্শী হবে। তাই বলা যায়, এনাটমি চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম ভিত্তি। এ ভিত্তি যাদের যত বেশি মজবুত হবে, তারা শিক্ষা ও কর্মজীবনে তত বেশি সফল হবে।

দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত রিজিওনাল এনাটমি অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।


শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ওয়াই স্যাবের একাডেমিক প্ল্যাটফর্ম হেলথ স্কুল ও এপিক হেলথ কেয়ার আয়োজিত ১ম রিজিওনাল এনাটমি অলিম্পিয়াড চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) শিক্ষার্থী চন্দ্রিমা দাশ এবং রানার আপ হয়েছেন একই মেডিকেলের মো. শাহরিয়াজ জাবেদ। অতিথিরা দুই বিজয়ীর হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেন। তাছাড়া, চূড়ান্ত পর্বের সেরা ১০ জনের অন্য আটজনকেও পুরস্কৃত করা হয়।


অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন এপিক হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এস এম লোকমান কবির ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এস এম আবু সুফিয়ান, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. প্রীতি প্রসূন বড়ুয়া, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউ ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. সাকলায়েন রাসেল, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, রিজিওনাল অলিম্পিয়াডের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারক অধ্যাপক ডা. সুলতানা রুমা আলম, বিচারকমন্ডলীর সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগের প্রধান ডা. ঊর্মিলা চৌধুরী,  চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মো. ইব্রাহিম সোহেল, এপিক হেলথ কেয়ারের ডাইরেক্টর (সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট) তানজিনা কবির, ডাইরেক্টর (এডমিন এন্ড এইচআর) তহমিনা মরিয়ম, ডাইরেক্টর (বিজনেস ডেভেলাপমেন্ট) মো. জসীম উদ্দীন, কর্পোরেট বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. জহির রায়হান, ওয়াই স্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. রবিউল আলম।

 
এপিক হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এস এম লোকমান কবির বলেন, 'আমি মনে করি নিঃসন্দেহে এটি একটি ব্যতিক্রমী এবং অন্যরকম আয়োজন। ভালো লাগছে ব্যতিক্রমী আয়োজনটি এই চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হয়েছে। আগামীতে এটি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এমনটিই প্রত্যাশা।'  

এপিক হেলথ কেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এস এম আবু সুফিয়ান বলেন, 'একটি ল্যাব কেবল বাণিজ্য নয়, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন একাডেমিক এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার কাজও করতে পারে। নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সেটি প্রমাণ করে যাচ্ছি।'

  
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউ ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, 'মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে কিছু কনফিউশন কাজ করে। আমি মনে করি, আজ যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন তাদের অধিকাংশেরই এই কনফিউশনটা দূর হবে। কারণ আজকের এনাটমি অলিম্পিয়াডে এমন কিছু অনুষঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাই এই এনাটমি অলিম্পিয়াড উপস্থিত সকলের জন্য একটি মাইলফলক হিসাবে কাজ করবে।'


প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি হতে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এনাটমি অলিম্পিয়াডের প্রথম পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী মেডিকেল কলেজগুলোতে বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের ১৪টি মেডিকেল কলেজের ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন। প্রতি মেডিকেল কলেজ থেকে নির্বাচিত সেরা ৫ জন করে মোট ৫৫ জনকে নিয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত পর্ব। চূড়ান্ত পর্বের প্রথম রাউন্ডে নির্বাচিত ৫৫ জনের মধ্য থেকে সেরা দশ জন এবং সেরা দশ জনের মধ্য থেকে একজন চ্যাম্পিয়ন ও একজন রানার আপকে পুরস্কৃত ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।  

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়