বেনামি আয়ে সম্পত্তি গড়ে দুদকের মামলার জালে স্ত্রীসহ পিডিবির ইঞ্জিনিয়ার 

চট্টগ্রামে পিডিবিতে চাকরি করার সময় স্ত্রীর নামে বেনামি সম্পত্তি করে দুদকের জালে আটকা পড়লেন পিডিবি প্রধান কার্যালয়ের পূর্তকর্ত বিভাগের পরিচালক এস,এম এ আজিম ও তার স্ত্রী নবতারা নুপুর। ৪,৭৫,১৩,৮৫১ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। আসামিদের বাড়ি চট্টগ্রামের বন্দর থানার উত্তর মধ্য হালিশহর ওয়ার্ডের মুনির নগরে।  

রোববার বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক হাফিজুল ইসলাম মামলাটি করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, দখল ও গোপন  করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারা ও দ.বি:১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 

মামলার বাদি দুদকের উপ পরিচালক হাফিজুল ইসলাম জানান, মামলার প্রধান আসামি পিডিবির প্রকৌশলী স,এম এ আজিমের স্ত্রী নবতারা নুপুর ৬৫,৬৬,৭৪৩ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ও ২৮,৬১,৪২৯ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৯৪,২৮,১৭২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এছাড়া অপর আসামি এস এম এ আজিম চট্টগ্রামে চাকরিকালীন সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ আড়াল করার জন্য স্ত্রী নবতারা নুপুরের নামে ৩,৮৪,৭৪,৬০৭ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করা এবং স্ত্রীর নামীয় বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদে ছদ্মবেশে বিনিযোগের মাধ্যমে রুপান্তর বা হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪(২) ও দ.বি. ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

দুদক সূত্র আরও জানায়, অনুসন্ধানকালে নবতারা নুপুরের নামে ৩,৯৯,৩৯,৭৪৩ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ও ৭৫,৭৪,১০৮ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জনের সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় । নবতারা নুপুর উত্তর-মধ্য হালিশহরে ক্রয়কৃত জমির উপর নির্মিত ৬ তলা ভবন সংক্রান্তে ৬৫,৬৬,৭৪৩ মূল্যের স্থাবর সম্পদ গোপন করার এবং আসবাবপত্র বাবদ ৫০,১৫০ টাকা, ইলেকট্রনিক্স বাবদ ১২,৩১,৬২৭ টাকা। ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড হালিশহর শাখার হিসাব নং ১৬৫.১৫১.৫৭৬৮৩ সংক্রান্তে ১৫,৭৯,৩০৭ টাকা এবং আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের হিসাব নং ২০৩০৫০৫৩৮৮০৩৫ সংক্রান্তে ৩৪৫ টাকাসহ মোট ২৮,৬১,৪২৯ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ গোপন করার তথ্য পাওয়া যায়। আসামি নবতারা নুপুর ৬৫,৬৬,৭৪৩ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ও ২৮,৬১,৪২৯ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৯৪,২৮,১৭২ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পাদন গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। নবতারা নুপুরের নামে মোট ৩,৯৯,৩৯, ৭৪৩ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ও ৭৫,৭৪,১০৮ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪,৭৫,১৩,৮৫১ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ এর সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়।