বৈশ্বিক সংকটে দেশবাসীকে সঞ্চয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ৭ নভেম্বর ২০২২
বৈশ্বিক সংকটে দেশবাসীকে সঞ্চয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

গণভবন প্রান্ত থেকে সোমবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ২৫টি জেলায় নবনির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে, তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন বাস্তবতায় দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি মিতব্যয়ী, সঞ্চয়ী ও খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সরকার প্রধান।

গণভবন প্রান্ত থেকে সোমবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ২৫টি জেলায় নবনির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে যে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে, সেখানে আপনাদের সবাইকে একটু সতর্ক হতে হবে, সাশ্রয়ী হতে হবে এবং মিতব্যয়ী হতে হবে। নিজেদের সঞ্চয় বাড়াতে হবে। তেল, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ যা ব্যবহার, সেই ব্যবহার সীমিত করতে হবে, যাতে অল্প খরচ করা যায়।’

আমাদের বাংলাদেশে আমরা আজকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছি, বিদ্যুৎ দিয়েছি। যদিও প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বিদ্যুতে খুবই সাশ্রয়ী হতে হবে, অপচয় করা যাবে না, কিন্তু উৎপাদন বাড়িয়ে কোনো রকম আন্তর্জাতিকভাবে যে খাদ্যের অভাব দেখা দিচ্ছে, নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেই সমস্যা থেকে বাংলাদেশের মানুষ যাতে মুক্ত থাকে, সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা।

‘সেই সঙ্গে আমি মনে করি প্রতিটি পরিবার, তাদের নিজেদেরও সেই চেষ্টা করতে হবে। আজকে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নের যে ধারাটা আমরা সৃষ্টি করেছি, সেটা যেন অব্যাহত থাকে। উৎপাদন বাড়ানো, নিজেরা সাশ্রয়ী হন, নিরাপদ থাকেন।’

খাদ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনাদের প্রতিটি এলাকায় যেখানে খালি জমি আছে, যত বেশি পারবেন খাদ্য উৎপাদন করবেন। ফলমূল, তরি-তরকারি যেটাই পারেন, যে যা পারেন উৎপাদন করবেন। হাঁস, মুরগি, ছাগল, গরু, ভেড়া মানে যা কিছু পান, পালন করতে হবে। নিজেদের উপার্জন নিজেদের করার চেষ্টা করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে, তার ধাক্কা যেন বাংলাদেশকে খুব বেশি ক্ষতি করতে না পারে। আঘাতটা লাগবেই, কারণ পৃথিবী একটা গ্লোবাল ভিলেজ, আমরা একই সঙ্গে। কাজেই একটা জায়গায় যদি এ রকম হয়, সারা বিশ্বে দেখা দেয়। সেই অভিঘাতটা বাংলাদেশেও আসে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়