Cvoice24.com

জ্বালানির দাম বৃদ্ধি: পোশাক রপ্তানিতে ধস নামার শঙ্কা বিজিএমইএর

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ৬ আগস্ট ২০২২
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি: পোশাক রপ্তানিতে ধস নামার শঙ্কা বিজিএমইএর

হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পোশাক শিল্পে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব, রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি, শ্রমিক অসন্তোষমহ নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা করছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ।

শনিবার (৬ আগস্ট) বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। 

সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বর্হিঃবিশ্বে জ্বালানি সংকটের কারণে সরকার বাধ্য হয়ে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করাতে পোশাক শিল্পের উৎপাদন খাতে খরচ বৃদ্ধি পাবে। রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ফলে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিশ্চিত পিছিয়ে পড়তে হবে। করোনা সংক্রমণ পরবর্তীতে বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে কাজের অর্ডার বাড়ছে। বিদ্যুতের লোড শেডিং-এর কারণে জ্বালানি তেলের উপর নির্ভর করে পোশাক শিল্পের উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হচ্ছে। এতে করে রপ্তানি ব্যয় বাড়ছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ফলে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধে বিলম্ব হবার কারণে শ্রমিক অসন্তোষসহ পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  

বিজিএমইএর এ নেতা বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধসহ নতুন করে তাইওয়ানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ও টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। এ প্রেক্ষিতে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও অনেকটা বাধ্য হয়ে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় জ্বালানি খাতে দেয়া ভর্তুকি কমিয়ে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি করেছে। তবে এটি অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। 

জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি না করার অনুরোধ জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রপ্তানি বান্ধব সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানির মাইল ফলক অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এর ধারাবাহিকতায় জাতীয় অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার জন্য রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প খাতে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। 

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার (৫ আগস্ট) দাম বাড়িয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ এই দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ৪২ শতাংশ। লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। অকটেনের দাম বেড়েছে ৮৯ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা। অর্থাৎ পেট্রল ও অকটেনের ক্ষেত্রে মূল্য বৃদ্ধির হার ৫০ শতাংশেরও বেশি।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টার পর থেকে ভোক্তা পর্যায়ে নতুন এই মূল্য কার্যকর হয়েছে।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়