মামুনুলকে এবার রিমান্ডে চাইবে সিআইডি

সিভয়েস ঢাকা

প্রকাশিত: ১৩:৪৮, ২০ এপ্রিল ২০২১
মামুনুলকে এবার রিমান্ডে চাইবে সিআইডি

মাওলানা মামুনুল হক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে নাশকতার ঘটনায় হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকেরও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাইবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীটির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।

সিআইডি প্রধান বলেন, ‘২০১৬ সালের পাঁচটি ও সাম্প্রতিক সময়ের ১৮টিসহ মোট ২৩টি মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তদন্ত শেষ করব এবং যারা এখনো আইনের আওতায় আসেনি তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করব।’

এদিকে ২৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫, কিশোরগঞ্জে দুই, চট্টগ্রামে দুই, মুন্সিগঞ্জের দুটি। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পাঁচটি মামলা ২০১৬ সালে এবং চলতি বছরে মামলা হয়েছে ১০টি।

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘এসব মামলার প্রাথমিক তদন্তে তিন ধরনের লোকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। যারা উপস্থিত থাকছে, অনুপস্থিত থাকলেও ইন্ধন দিয়েছে, আর যারা সরাসরি হামলা ও নাশকতায় জড়িয়েছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।’

এসব মামলায় মামুনুল হকের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। তিনি একটি মামলায় রিমান্ডে আছেন। সেটি শেষ হলে আমরা রিমান্ডে আনবো।’

কোন মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে প্রশ্ন করা হলে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জের দুটি মামলায় তার (মামুনুল হক) ইনভলভমেন্ট পাওয়া গেছে। সব মামলা স্ট্যাডি করছি। যদি অন্য কোনো মামলাতেও তার ইনভলভমেন্ট থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে গত রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। 

মামুনুলকে গ্রেপ্তারের পর ওইদিন দুপুরেই এক ব্রিফিংয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ জানান, দেশে বিভিন্ন সময় মামুনুল হক উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরসহ নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে আরও মামলা হয়েছে।

তিনি জানান, সম্প্রতি সারা দেশে হেফাজতের তাণ্ডবে থানা এবং সরকারি অফিসসহ অনেক কিছুই ভাঙচুর হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানাতেও ভাঙচুরের একটি মামলা ছিল। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়। 

এ বিষয়ে ডিসি হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তদন্তের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ২০২০ সালের এক মামলার সঙ্গে তিনি জড়িত। এ মামলায় আমরা তাকে জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা মামুনুল হক স্বীকার করেন।’ 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়