Cvoice24.com

চবি শিক্ষক সমিতি/
অনলাইনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন, গ্রহণ করেনি কমিশন

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩
অনলাইনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন, গ্রহণ করেনি কমিশন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে যুগ্ম সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা এই শিক্ষক সোমবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন বরাবর এই আবেদন করেন। তবে অনলাইনে আবেদন করায় তা গ্রহণ করেননি কমিশনার।

আবেদনে ড. আদনান মান্নান উল্লেখ করেন, ‘আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২০২৩-এ যুগ্ম সম্পাদক পদে একজন প্রার্থী। সম্প্রতি আমার হৃদরোগ চিহ্নিত হয়েছে এবং ডব্লিউপিডব্লিউ সিন্ড্রোমের কারণে আমার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। গতকাল থেকে আমি হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকের রিপোর্ট সংযুক্ত করা হলো।’

তিনি এই আবেদনপত্রে আরও উল্লেখ করেন, ‘স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে আমার নির্বাচনে কিংবা শিক্ষক সমিতিতে কাজ করা সম্ভব নয়। অতএব আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে চাই৷ এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

তবে অনলাইনে আবেদন করায় তা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ এক অনলাইন পত্রের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানান। কিন্তু সফট কপির মাধ্যমে আবেদন জানানোর কোন নিয়ম না থাকায় আমরা সে আবেদন গ্রহণ করতে পারিনি। তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. আদনান মান্নান বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। প্রত্যক্ষ নির্বাচনের অবস্থাও নেই। পারিবার কিংবা ডাক্তারাও নির্বাচনে সায় দিচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছি। সকালে নির্বাচন কমিশনের সাথে যোগাযোগ করেছি। ওনি প্রত্যাহারের কপি জমা দিতে বলেছেন। অসুস্থ থাকায় সরাসরি এসে জমা না দিলেও অনলাইনে জামা দিই। নির্বাচন কমিশনারের জমার রিসিভ কপিও আমি হাতে পেয়েছি। কিন্তু এখন শুনছি আমার প্রত্যাহার গ্রহণ করেনি। কেন করেনি তা আসলে আমি জানি না।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের ১১টি পদের নির্বাচন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল নয়টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এবারের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে এবারও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকেরা অংশ নিচ্ছেন না। তবে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৪ জন প্রার্থী। ১১টি পদের বিপরীতে হলুদ দল ১১জনকে মনোনয়ন দিলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১৩ জন।

সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদে পদ রয়েছে ১১টি। এগুলো হলো একজন সভাপতি, একজন সহসভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন যুগ্ম সম্পাদক ও ছয়জন সদস্য। সমিতির সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল গত বছর ১৭ জানুয়ারি।

প্রার্থী যারা-

সভাপতি পদে হলুদ দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী। একই পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন হলুদ দলের আরও দুই সদস্য। এরা হচ্ছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্লাহ্। সহ-সভাপতি পদে হলুদ দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলা উদ্দিন। একই পদে স্বতন্ত্র হয়েছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ। কোষাধ্যক্ষ পদে হলুদ থেকে একাউন্টিং বিভাগ থেকে অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মীর সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী।

সাধারণ সম্পাদক পদে হলুদ দল থেকে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। যুগ্ম সম্পাদক পদে হলুদ দল থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা সুকন্যা বাশার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।

সদস্য পদে হলুদ দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এস এম সালামত উল্যা ভূঁইয়া, ওশানোগ্রাফী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল হক, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা পাল, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা। এছাড়া সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জ্ঞান রত্ন শ্রমণ, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ঝুলন ধর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া, আইন বিভাগের অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা ও  অধ্যাপক ড. রকিবা নবী এবং মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়