২২ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জনের ডাক চবির চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের
চবি প্রতিনিধি

ঐক্যবদ্ধভাবে ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আবাসিক হল ও পাঠাগার সংস্কারসহ ২২ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা৷ আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ দাবিগুলো পূরণের দাবিতে ক্লাস বর্জনের ডাক দেয় তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বাস চালু, ডাইনিং ও ক্যান্টিন তৈরি, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, বেসিনের সুব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নির্মাণ, আর্ট ম্যাটারিয়ালসের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পাঠাগার সংস্কার, জেনারেটরের ব্যবস্থা, মেডিকেল ব্যাকআপ, খেলাধুলার পর্যাপ্ত ইনসট্রুমেন্টের ব্যবস্থা, মেয়েদের থাকার হলের ব্যবস্থা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্মূল, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক সংকট নিরসন, ছাত্র ও ছাত্রী মিলনায়তনের ব্যবস্থা, সেমিনারের পরিধি বাড়ানো, ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরন, ওজুখানা ও নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা, সন্ধার পর পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য লকারের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরন এবং ছাত্রদের হলের ব্যবস্থা।
মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সায়েদ কবির বলেন, ‘আমাদের চারুকলা ইন্সটিটিউট বছরের পর বছর ধরে নানান সমস্যায় জর্জরিত। আমরা বিভিন্ন সময় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমাদের চারুকলা ইন্সটিটিউটটি শহরে অবস্থিত হওয়ায় তেমন কারো নজরেও পড়ছে না। তাই, আমরা আগামীকাল থেকে ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম বলেন, ‘এর আগেও অনেকবার এ অভিযোগগুলো আমরা জানিয়েছি। কিন্তু কোনো সমাধান আসেনি। তাই, ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছি। দাবি না মানা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরা ক্লাস বর্জন করব।’
চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছিল বিভিন্ন বিষয়ে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রশাসনের সাথে কথা বলছি। এছাড়া আমরা কাল তাদের সাথে কথা বলবো। আশা করি সুন্দর সমাধান বেরিয়ে আসবে। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি।’