সমাজকর্মী আশরাফ উদ্দিনের মৃত্যুতে মিরসরাইয়ে শোকের ছায়া
মিরসরাই প্রতিনিধি
‘সবাই মিলে পথ হাটি সবুজ ঘাসের মাঠে নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি, হাতে হাত রেখে’। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের বায়োতে লেখা ছিলো স্বপ্নবান এই মানুষটির। তিনি স্বপ্ন দেখেন, তিনি স্বপ্ন দেখান, তিনি নেতৃত্ব দেন। তিনি উপজেলার অন্যতম সমাজ উন্নয়ন সংগঠন শান্তিনীড়ের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফ উদ্দিন সোহেল। একাধারে একজন সফল সংগঠক, সফল উদ্যোক্তা ও সফল ব্যবসায়ী। তার বিনয়ী সুলভ আচরণ মানুষকে কাছে টেনে নিয়েছে। তাঁর হঠাৎ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো মিরসরাই উপজেলা জুড়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বইছে শোকের বন্যা। এমন মানুষের বিদায় কেউ মেনে নিতে পারছেনা। এদিকে হাসপাতালের বারান্দায় জড়ো হওয়া সহকর্মীদের হাউমাউ করে কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ বাতাস। শোকের ছায়া নেমে এসেছ পুরো উপজেলায়।
জানা গেছে, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় তার বারৈয়ারহাটস্থ ব্র্যাক এজেন্ট ব্যাংকের আউটলেটে কর্মব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অন্য সহকর্মীরা তাকে স্থানীয় কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন সোহেল উপজেলার শান্তিরহাট বাজার সংলগ্ন নতুন বন্দে আলী ভূঁইয়া বাড়ির নুরুল হুদা মিয়ার বড় ছেলে।
মিরসরাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এম আলাউদ্দিন তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন ‘ভাবতেই পারছিনা এই হাসি আর কখনো দেখতে পাবো না।আর কোন দিন এগিয়ে এসে বলবেনা ভাইয়া কেমন আছেন? ওপারে ভালো থেকো আশরাফ।আল্লাহ তোমার সমস্ত ভালো কাজের উচিলায় তোমাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে জায়গা দিন’।
কমফোর্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, আশরাফ ভাইয়ের মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। তিনি দুপুরে অফিসে কাজ করছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অফিসের লোকজন তাকে আমার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু আনার পথে তিনি মারা যান। তিনি আমার একজন অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। তাকে হারিয়ে আমি বাকরুদ্ধ।
শান্তিনীড়ের সদস্য সাংবাদিক এম মাঈন উদ্দিন বলেন, সদা হাস্যেজ্জ্বল প্রাণবন্ত প্রিয় মানুষটি আর নেই। যে খবর শোনার জন্য মোটেও প্রস্তত ছিলাম না। আশরাফ ভাইয়ের সাথে কতশত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। খবরটি শুনে দ্রুত ছুঁটে যাই স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে গিয়ে দেখি তার নিথর দেহটি শুয়ে আছে হসপিটালের বিছানায়।