সীতাকুন্ডের ইউএনও-পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে মন্ত্রণালয়ের অভিনন্দন
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রফিকুল ইসলাম ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং মা ও শিশু কেন্দ্র দৃষ্টিনন্দন ও উন্নতকরণ করা এবং স্বাস্থ্য সেবা সহজ করায় মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক এই অভিনন্দন বার্তা পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান এ চিঠি পাঠান।
চিঠিতে উল্লেখ আছে, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন ও জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে। মাতৃ-মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস এবং মাতৃ, শিশুস্বাস্থ্য ও কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ সহ জাতীয় জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আপনি সীতাকুণ্ড উপজেলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সমূহের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সম্পৃক্ত করেছেন এবং তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ হতে বরাদ্দ প্রদানে উৎসাহিত করেছেন। আপনার নেতৃত্ব ও সার্বিক সহযোগিতায় সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্র সমূহ আধুনিক ও দৃষ্টি নন্দন হয়েছে এবং সেবা গ্রহীতার সেবা লাভের পথ প্রসারিত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আপনার সার্বিক কার্যক্রমের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে অদম্য যাত্রায় এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। আপনার মত স্মার্ট কর্মকর্তা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস করি।"
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের বলেন, ‘যেকোনো কাজের স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক। কাজের প্রতি আন্তরিকতা থাকলে একদিন না একদিন তার ফল পাওয়া যায়। ইউএনও স্যারের সার্বিক সহায়তার কারণেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো উন্নত আধুনিকায়ন করা সম্ভব হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, "স্বাস্থ্য সেবাটা গ্রামীণ পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং উন্নত বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হওয়ার লক্ষ্যে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন ও উন্নত করণ করা হয়। আমাদের ৯টি ইউনিয়ন এর মধ্যে ৮টিতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। ভাটিয়ারী ইউনিয়নের নিজস্ব ভবন না থাকায় সেই ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কেন্দ্র নাই। এই ইউনিয়নে নিজস্ব ভবন ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করছি।