বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে নিতে চাই : চবি উপাচার্য

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:০২, ১৮ নভেম্বর ২০২১
বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে নিতে চাই : চবি উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘আমি মনে করি আর দশটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খুব দ্রুত আমরা এগিয়েছি, উন্নতি করছি। শুরুতে আমাদের যেসব সমস্যা ছিল সেগুলো আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। লাইব্রেরি, শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক সংকট নিরসনে আমরা কাজ করছি। সামনের দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজট, পরিবহন ও আবাসন সংকট দূর করার প্রক্রিয়া চলছে। গবেষণায়ও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যথেষ্ট ভালো করছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সিভয়েসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে চবির ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, ১২ জন শিক্ষার্থীসহ তিনজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী শহীদ হন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের মাধ্যমে আমরা তাদের স্মরণ করতে চাই।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে আমাদের স্বপ্নের শেষ নেই। মেডিকেল সেন্টারকে আধুনিকায়ন করা, আমাদের যে ঝর্না আছে, সেখানে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা, হল ও শিক্ষকদের আবাসিক ভবনগুলো সংস্কার করা। এছাড়া আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্ষদ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আরো বহুমুখী প্ল্যান হাতে নিয়েছি। আমরা চাই দক্ষিণাঞ্চলে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। আন্তজার্তিক র‌্যাঙ্কিংয়ে, জ্ঞানে বিজ্ঞানে এবং অন্য সকল কর্মকাণ্ড যেন এগিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

চাকসু ও সমাবর্তনের প্রসঙ্গে অধ্যাপক শিরীণ আখতার বলেন, ‘আমরা আপাতত সেশনজট নিরসনে জোর দিচ্ছি। ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসেও আমরা কোনো বিভাগের পরীক্ষা পিছাইনি। করোনার কারণে একাডেমিক যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছিল আমরা সেটা পূরণ করতে শনিবারেও ক্লাস পরীক্ষা নিচ্ছি। চাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না। তবে আমাদের ২০২০ সালে যে সমাবর্তনের পরিকল্পনা ছিল সেটা করোনার কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। পরিকল্পনা রয়েছে এক বছর পর আমরা সমাবর্তন করব।

চবি উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু কলরবে নয় ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকদের রিসার্চের দিকে নিবিড়ভাবে মনোযোগ দিতে চেষ্টা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তজার্তিক র‌্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে যেতে হলে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। গবেষণার পরিধিকে কিভাবে ব্যাপকহারে বিস্তৃত করা যায় সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। বাংলাদেশের বিস্ময়কর অভিযাত্রার নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী হয়ে এই জ্ঞানপীঠ যেন আরও বেশি করে পৃথিবীর সাম্প্রতিকতম জ্ঞানকে আয়ত্ত করার সাধনায় নিয়োজিত থাকতে পারে আর মৌলিক গবেষণার সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার গুণগত মান ও পরিবেশ উন্নয়নের যে প্রত্যয় তার বাস্তবায়ন ঘটুক আসুন সেই প্রত্যাশায় আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২০-কে সফল করে তুলি।

আরও পড়ুন ...

 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়