শুভ জন্মদিন; ৫৬’র শাটলের ক্যাম্পাস

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:১৬, ১৮ নভেম্বর ২০২১
শুভ জন্মদিন; ৫৬’র শাটলের ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশপথ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আয়তনে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও বাংলাদেশের অদ্বিতীয় ক্যাম্পাস। সুদীর্ঘ ৫৫ বছর পেরিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে ৫৬ বছরের পথ চলা শুরু করেছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এ বিশ্ববিদ্যায়টি।

১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন ৫৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করছে চবি। ১৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় চবির শহীদ মিনার থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হবে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুল তলায় অনুষ্ঠিত হবে আলোচনাসভা। বেলা ১১টায় কেক কাটা ও সাড়ে ১১টায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। দুপুর ১২টায় আলোচনাসভা ও স্মৃতিচারণ এবং বিকেল ৩টায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

৫৫ বছর আগে মাত্র চারটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে চবিতে এখন রয়েছে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইন্সটিটিউট। শুধু শিক্ষা আর গবেষণা নয়, দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এ বিশ্ববিদ্যালয় রেখেছে বিশেষ অবদান। ১৯৭১ এর গণঅভ্যুত্থান ও ‘৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ‘৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যার সাক্ষী।

দেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবার প্রয়াসে গণতান্ত্রিক প্রত্যেকটি আন্দোলনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা সর্বজনগ্রাহ্য। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন এমন প্রথিতযশা অধ্যাপকগণ দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা ও রাজনীতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। দেশের যে কোন জায়গায় ঘটে যাওয়া অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সুসংহত অবস্থান সর্বত্র। কাজেই সার্বিকভাবে শিক্ষা ও গবেষণায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান অগ্রগণ্য। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ পৃথিবীখ্যাত নামকরা স্কলারশীপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন এবং ডিগ্রী গ্রহণ শেষে দেশে ফিরে গবেষণায় আত্মনিয়োগ করছেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ গমন করছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের মর্যাদা বিশ্বের কাছে প্রতিনিয়ত উজ্জ্বল করছেন। কাঙ্খিত ডিগ্রী গ্রহণ শেষে সৃষ্টিশীল গবেষণায় আত্মনিয়োগ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সুবিশাল কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার সোপানে নতুন নতুন পালকের সংযোজন ঘটাচ্ছে, বিস্তৃতির পাশাপাশি গুণগত মান বৃদ্ধির উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। একাডেমিক সাফল্যে বহু শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক প্রাপ্তির গৌরব অর্জন করছেন। দেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক মঞ্চগুলো রয়েছে চবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের দখলে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম ও নোবেলজয়ী ড. ইউনুসও চবির অধ্যাপক ছিলেন।

আরও পড়ুন...

 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়