Cvoice24.com

গণহারে মাস্টার্স করার সুযোগ বন্ধ হচ্ছে!

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১৮, ১৫ জানুয়ারি ২০২২
গণহারে মাস্টার্স করার সুযোগ বন্ধ হচ্ছে!

ফাইল ছবি

গণহারে মাস্টার্স করার সুযোগ বন্ধ করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন নীতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। কাগজে-কলমে আগে থেকেই অনার্সই টার্মিনাল ডিগ্রি হলেও এখন থেকে সীমিত করার সুপারিশ তাদের। তবে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মাস্টার্সে শর্ত জুড়ে দেওয়ার প্রথাও থামানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন, স্নাতকই হবে প্রান্তিক ডিগ্রি। এটাই হচ্ছে আমাদের মূল বার্তা। বাংলাদেশে এটা আছে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার, এমবিবিএস, ভেটেরিনারি বিষয়গুলোতে পাঁচ বছরের স্নাতক ডিগ্রি। অনার্স পাস করে বিসিএসে অংশ নিয়ে মাস্টার্স ছাড়া সিনিয়র সচিবও হতে পারে। কোনো সমস্যা নেই। এরপর যারা উচ্চতর শিক্ষা যেমন এমফিল-পিএইচডি, শিক্ষকতা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যেতে চায় তাদের মাস্টার্সের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে সংখ্যাটা হবে সীমিত।

মাস্টার্স করতে পারা শিক্ষার্থীদের সংখ্যার বিষয়ে তিনি বলেন, একটা বিভাগ কতজন শিক্ষার্থীকে মাস্টার্স করাতে পারবে সেটা নির্ভর করবে সে বিভাগের কতজন অধ্যাপক আছেন, যারা ভালোভাবে গাইড করতে পারবেন তাদের। মাস্টার্সে এবং পিএইচডিতে থিসিস করতে হয়, গবেষণা করতে হয় এটার জন্য গাইড খুব গুরুত্বপূর্ণ।

বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশে যারা মাস্টার্স করে তারা স্কলারশিপ বা ফেলোশিপ নিয়ে করে। তাহলে আমরা সবাইকে গণহারে না দিয়ে যারা মাস্টার্স করতে পারবে তাদের স্কলারশিপ বা ফেলোশিপের আওতায় নিয়ে আসতে পারব। কিন্তু সেটা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার মতো রিসোর্স আমাদের নেই।

পরিকল্পনার বাস্তবায়ন যেভাবে হবে?

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক ক্ষেত্রে স্বাধীন। এখানে ইউজিসি কোনো সিদ্ধান্ত দিয়ে দিতে পারে না, শুধু পরামর্শ দিতে পারে। আমরা সিদ্ধান্ত দেব না, শুধু নীতিগত পরামর্শ দিচ্ছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জানতে চাইতে পারে, কতজনকে তারা মাস্টার্সে বা পিএইচডিতে পড়াতে পারবে? তখন বিভাগ তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রস্তাব দিলে অনুষদের ডিন, একাডেমিক কাউন্সিল আছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।

যা বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন?
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বহু আগে থেকেই অনার্সকে টার্মিনাল (প্রান্তিক) ডিগ্রি ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষক হিসেবে তখন প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, এটা যদি টার্মিনাল ডিগ্রি হয় তাহলে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোয় মাস্টার্স না চেয়ে অনার্সই চাইত। তাহলেই এটা যে টার্মিনাল ডিগ্রি সেটা প্রমাণিত হবে। আমি অনার্সকে টার্মিনাল ডিগ্রি করে দিয়ে যদি সবার কাছে মাস্টার্স চাই তাহলে এটা টার্মিনাল ডিগ্রি হলো? সরকার যদি নির্দেশনা দেয় আমরাও সেটা মান্য করব অবশ্যই। কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রেও সেটা মান্য করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়