Cvoice24.com

ঘুরতে আসুন অপরূপ রাঙামাটি

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ৮ মে ২০১৮
ঘুরতে আসুন অপরূপ রাঙামাটি

রূপের রানী রাঙামাটির রূপ দর্শনে প্রতিবছরই শত শত দেশি-বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা থাকে। যেহেতু সরকারি চাকরিজীবীরা লম্বা একটা ছুটি পেয়েছেন, তাই তারা ইচ্ছে করলেই পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন রাঙামাটি থেকে। রাঙামাটি কিভাবে আসা যায়, কোথায় থাকবেন এবং খাবেন সেটি নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো। 
কিভাবে যাবেন:
ঢাকা সায়েদাবাদ, কলাবাগান, ফকিরাপুল অথবা গাবতলি থেকে শ্যামলী, হানিফ, ইউনিক, এস আলম এবং বিআরটিসি বাসে করে যেতে পারবেন রাঙামাটি। তবে সব থেকে ভালো হবে সায়েদাবাদ থেকে টিকিট করলে। নন এসি বাস ৬২০ টাকা। এসি বাস আছে শ্যামলী এবং বিআরটিসির। ভাড়া ৮০০ টাকা। সাধারণত সকাল ৮ টা, ৯ টা এবং ১০ টায় প্রতিটি কোম্পানির ২ টা করে বাস ছাড়ে। আবার রাতে ৮ টা থেকে ১০ টার মধ্যে প্রতি কোম্পানির দুইটা করে বাস ছাড়ে। তবে বাস ভাড়া অল্প একটু কমবেশি হতে পারে।
কোথায় থাকবেন:
রাঙামাটি বেশ কিছু হোটেল মোটেলে আপনি থাকতে পারেন। হোটেলের মধ্যে অন্যতম হোটেল সুফিয়া, সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল প্রিন্স ইত্যাদি। হোটেলের নন এসি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং ডাবল রুম ৮০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। আর এসি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ১০০০-১৮০০ টাকা, ডাবল ১৫০০-২৫০০ টাকার মধ্যে। আর মোটেলের মধ্যে রয়েছে জর্জ মোটেল, পর্যটন মোটেল ইত্যাদি। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন পর্যটন কমপ্লেক্সে সুন্দর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদে নৌ-ভ্রমণ
রাঙামাটির সৌন্দর্যের অন্যতম উৎস কাপ্তাই হ্রদ। বিশাল হ্রদে নৌ ভ্রমন ছাড়া রাঙামাটির রূপ দর্শন অপূর্ণতাই রয়ে যাবে। তাই রাঙামাটি এসে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমন করার মজাই অন্যরকম। রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি ও বনরূপা ঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত বোট পাবেন। এসবের ভাড়াও খুব বেশি নয়। ১০জনের গ্রপের জন্য ৭-৮টি স্পট দেখার জন্য ভাড়া পড়বে মাত্র ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় যেতে চাইলে তার ভাড়াও পড়বে একেক রকম।

শুভলং ঝর্ণায় কীভাবে যাবেন?
শহর থেকে শুভলং ঝর্ণায় যেতে হলে নৌ পথে যেতে হয়। ইঞ্জিন চালিত ট্রলার রিজার্ভ করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। শুভলং ঝর্ণা রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার মধ্যে পড়েছে। রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে অথবা পর্যটন এলাকা থেকে ট্রলার রিজার্ভ করা যায়। এগুলোর ভাড়া আকার অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে ভাড়া সাধারণত ১২০০-৩০০০ টাকার মধ্যে। মূল শহর থেকে শুভলং যেতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টার মত। শুভলং যেতে হয় কাপ্তাই লেকের উপর দিয়ে। কাপ্তাই লেক দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম লেক।

ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে চান?
রাঙামাটি শহরের দোয়েল চত্বর বা তাবলছড়ি বাজার থেকে সি এন জি নিতে হবে। দোয়েল চত্বর থেকে ভাড়া নেবে ১০০ টাকা এবং তাবলছড়ি থেকে ভাড়া ৫০ টাকা।
ঘাগড়া ঝর্ণায় কীভাবে যাবেন?
রাঙামাটিতে শুভলং ঝর্ণা ছাড়াও আছে ঘাগড়া ঝর্ণা। এটি কলাবাগান হাজাছড়ি নামক স্থানে অবস্থিত। এই ঝর্ণা মূলত বর্ষাকালেই প্রবাহিত হয়। এই ঝর্ণা এলাকায় ছোট বড় ৫-৬ টি ঝর্ণা রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে অনেক পর্যটক এই ঝর্ণাগুলো দেখতে ভিড় জমায়। রাঙামাটি শহর থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে ঘাগড়া ঝর্ণায় যাওয়া যায়। ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা। এছাড়া রাঙামাটির আরও যেসব জায়গায় ভ্রমণ করা যায় তা হল- কাপ্তাই লেক, কাপ্তাই প্রোজেক্ট, টি গার্ডেন, ডিসি বাংলো, দুই পাহাড়ের মাঝে কর্ণফুলী নদী, বনবিহার ইত্যাদি।
স্থানীয় খাবার:
রাঙামাটিতে বসবাসকারী ১১টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর রয়েছে আলাদা সংস্কৃতি  ও তাদের খাবারেরও রয়েছে ভিন্নতা। আপনি চাইলে এসব খাবারও খেতে পারেন। এজন্য হ্রদের মাঝখানে কিংবা শহরের অভ্যন্তরে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। হ্রদের মাঝখানে শুভলং যাওয়ার পথে চাংপাং, ম্যাজাং, মারমেইড, পেদাটিংটিং, টুকটুক ইকোভিলেজ এবং শহর অভ্যন্তরে পাজন, ঝুম, ক্যাবাং, সাবারাং সহ বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এসব রেস্টুরেন্টে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী খাবার বাঁশ করুল, পাজন, ব্যাম্বো চিকেনসহ বেশ কিছু পদের খাবার পাওয়া যায়। এসব খাবারের দামও নাগালের মধ্যে।

সিভয়েস/এএইচ

90

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়