Cvoice24.com

‘যে হাত দিয়ে মারতে আসবে সেটা ভেঙে দিতে হবে’

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
‘যে হাত দিয়ে মারতে আসবে সেটা ভেঙে দিতে হবে’

বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বারবার আঘাত করলে আমরা সহ্য করব না। আমরা ২০২২ পর্যন্ত সহ্য করেছি। এখন আর করব না। চাল-ডাল দিয়ে খিচুড়ি খেয়ে সরকার হটানো যাবে না। যে হাত দিয়ে মারতে আসবে, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দিতে আসবে, সে হাত দিয়ে তাদের পোড়াতে হবে। ওদের কিসের ক্ষমা। বসে বসে আর মার খাওয়া যাবে না। গণতন্ত্র তাদের মুখে মানায় না।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং দুই সিটির মেয়রদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যৌথসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। সেদিন তারা (নয়াপল্টনে বিএনপি) বিআরটিসির বাস পুড়িয়েছে। এটা তাদের টেস্ট ছিল। নেতাকর্মীদের বলছি, সবাই প্রস্তুত থাকুন। মেহনতী মানুষের ওপর আঘাত করলে তাদের ক্ষমা নেই। 

তিনি বলেন, তৃণমূলের মানুষ ক্ষমতাবান হউক এটা কেউ চায় না, শুধু আওয়ামী লীগ তা করে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট চুরি করে না। জনগণের ভোট জনগণের হাতে তুলে দেয়। বিএনপির স্বভাব তো যায় না। তারা ২০০১ সালে গ্যাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসে। সে সময় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। এখানে নাছিম আছেন, সাবের হোসেন চৌধুরীর ওপর যে অত্যাচার করা হয়, বিএনপি তো মনে করেছিল তারা মারা গেছে। বিএনপি আমাদের প্রতিটি নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন করেছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি দখল করে পুকুর কেটে কলা গাছ লাগানো হয়েছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা প্রতিশোধ নিতে পারতাম, কিন্তু আমরা তা করিনি। নির্বাচনী ইশতেহার বিএনপি বাস্তবায়ন করেনি।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ভেসে আসেনি। আওয়ামী লীগ কারো পকেটের সংগঠন না। বিএনপির জন্ম জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে। আওয়ামী লীগ আসার পর এদেশের উন্নয়ন হয়েছে।  

তিনি বলেন, বিএনপি ২০০১ সালে লবিষ্ট নিয়োগ করেছিল। তারা টাকা দিয়ে আমি, আমার বোন কোথায় টাকা রেখেছি খোঁজ করেছে। তারা লুটে খেতে ক্ষমতায় এসেছিল। আওয়ামী লীগ দিতে এসেছে। 

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক ওয়াসিকা আয়শা খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপসসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  


 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়