জামিন পেলেন শিপ্রা, সিফাতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ‘সোমবার’
টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের ফিল্মটিমের সদস্য শিপ্রা দেবনাথ জামিন পেয়েছেন। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত রামুর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৩১ আগষ্ট মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের পর মাদক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
শিপ্রার আইনজীবি অরুপ বড়ুয়া তপু এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শিপ্রার বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত শিপ্রার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের অপর সহযোগী রিফাতুল ইসলাম সিফাতের জামিন আবেদনের জন্য সোমবার দিন ধার্য্য করেছে আদালত। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (টেকনাফ- ৩) এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক তামান্না ফারাহ এই আদেশ দেন।
সিফাতের আইনজীবি মাহবুবুল আলম টিপু জানান, পুলিশের দায়ের করা হত্যা ও মাদকের দুটি মামলায় সিফাতের জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে জামিনের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য্য করা হয়।
সেই সঙ্গে টেকনাফ থানায় দায়েরকৃত পুলিশের মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র্যাবকে দেয়ারও আবেদন করেন। দুই আবেদনের শুনানি হবে ১০ আগষ্ট।
৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ সময় গ্রেফতার করা হয় মেজর সিনহার সঙ্গে থাকা শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে।
অপরদিকে, খুনের ঘটনায় সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে ৫ আগস্ট টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বরখাস্ত হওয়া প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯জনকে আসামি করা হয়।
যার টেকনাফ থানার মামলা নম্বর : ৯/২০২০, সিআর মামলা নম্বর : ৯৪/২০।
বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে র্যাবকে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তারা আদালতে প্রতিবেদন জমা দিবে।
ঘটনা তদন্তে গত ২ আগস্ট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্ত্বা বিভাগ। ৪ আগষ্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে তদন্ত কমিটি।
কক্সবাজার প্রতিনিধি