উপাচার্যের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের দুর্ব্যবহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাঙামাটি শহরের শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেছে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে রাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীরা।

রাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিন লাখ টাকা বরাদ্দের ভিত্তিতে শহরের মাঝেরবস্তী এলাকায় অবস্থিত রাবিপ্রবির অস্থায়ী আবাসিক হলটি সংস্কার করে দেওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে রাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আক্তার হলের সংস্কার কাজ পরিদর্শনে আসেন। কিন্তু কাজের মান ভালো না হওয়ায় তিনি শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমানকে ডেকে নিয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক উপাচার্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এতে করে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে জড়ো হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ওই প্রধান শিক্ষক ঘটনার পর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাননি। তাই আমরা উনার দুর্ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ করছি এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

বিক্ষোভের পরে শিক্ষার্থীরা রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন এবং অভিযোগ জানিয়ে তাকে স্মারকলিপি দেন। পরে জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে নেবেন বলে জানান।

শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করে, রাবিপ্রবি হলে মঙ্গলবার শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতারের সঙ্গে অশোভন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং মারমুখী আচরণ করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী হলে অবস্থানরত ছাত্রদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মারধর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাবিপ্রবি ছাত্র হলের সহকারী প্রভোষ্ট এবং সহকারী অধ্যাপক সজীব ত্রিপুরা স্যার এগিয়ে এলে উনাকেও অসৌজন্যমূলক আচরণ ও মারমুখী আচরণে লিপ্ত হন। এতে উনি চোখে আঘাত পান।

উল্লেখ্য, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫ সাল থেকে ক্লাস শুরু হলেও এখনো নিজস্ব কোন ছাত্রাবাস নেই। শহরের মাঝেরবস্তী এলাকায় শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি ভবন ভাড়া নিয়ে সেখানে অস্থায়ী ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।