ওয়াসার রাস্তা কর্তনের প্রদত্ত অর্থের চেয়ে মেরামত ব্যয় বেশি: মেয়র

প্রকাশিত: ১২:০০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ওয়াসার রাস্তা কর্তনের প্রদত্ত অর্থের চেয়ে মেরামত ব্যয় বেশি: মেয়র

ছবি: সিভয়েস

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে রাস্তা কর্তন বাবদ ওয়াসা যে অর্থ দেয় এর চেয়ে কর্তনকৃত রাস্তা মেরামত ব্যয় আরো বেশি বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। 

আজ বুধবার দুপুরে চসিক সম্মেলন কক্ষে সিভিল সোসাইটি কো অর্ডিনেশন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এই মন্তব্য করেন। 

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে রাস্তা কাটছে। এই নগরে শতভাগ পানি চাহিদা নিশ্চিতে ওয়াসা অনেকগুলো প্রকল্প একসাথে গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি শেষ হয়েছে। বর্তমানে আরো দুইটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে অপ্রিয় হলেও সত্য, উন্নয়নের কারণে নাগরিক ভোগান্তি হচ্ছে। এ ভোগান্তি সইতে হবে। তবে নাগরিক ভোগান্তি কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ওয়াসার চলমান দুটি প্রকল্প একই সময়ে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চসিকের সাথে সমন্বয় করা জরুরি। তখন চসিকও রাস্তা মেরামত বা সংস্কারে সময় সাশ্রয়ী পরিকল্পনা নিতে পারবে। এতে করে নাগরিক দুর্ভোগও কম হবে। এখন সেবা সংস্থাগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে আর দোষ চাপছে সিটি কর্পোরেশনের উপর। 

তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশন রাস্তা মেরামতে যে টাকা ব্যয় করে চট্টগ্রাম ওয়াসা রাস্তা কর্তন বাবদ সেই টাকা দেয় না। ওয়াসা প্রদত্ত রাস্তা কর্তনের টাকার চেয়ে কর্পোরেশনের রাস্তা মেরামত ব্যয় অনেক বেশি। ওয়াসার টাকা দিয়ে রাস্তা সংস্কার করতে আমাদেরকে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাস্তা মেরামতের এ্যাসফল্ট তৈরির অন্যতম উপাদান বিটুমিন। ইস্টার্ন রিফাইনারী থেকে আমরা যে বিটুমিন ক্রয় করি তার জন্য আমাদেরকে অগ্রিম টাকা দিতে হয়। টাকা পরিশোধের পরই তারা বিটুমিন সরবরাহ করে। তাছাড়া আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইস্টার্ন রিফাইনারীর উৎপাদন বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে কর্তনকৃত রাস্তা কার্পেটিংয়ের জন্য নতুন প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে। 

১০৩ সদস্য বিশিষ্ট সিভিল সোসাইটি কো অর্ডিনেশন কমিটির সভায় শ্রেণি পেশাজীবি  প্রতিনিধিবৃন্দ স্ব স্ব অবস্থান থেকে নগর উন্নয়নে মতামত ব্যক্ত করেন। 

বক্তারা নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নে কয়েকটি সড়কে ওয়ানওয়ে চালুকরণ, ওয়াসার রাস্তা কাটার আগে ট্রাফিক বিভাগকে অবহিতকরণ, পাইপ লাইন সংস্কার ও সংযোগে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদেরকে সমন্বিত করা, ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা রাখায় বাধ্য করা, যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা বাজার নিয়ন্ত্রণে চসিকের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক থেকে লোহার পাত তুলে ফেলা ও প্রকল্প চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট স্পটে কাজের যাবতীয় তথ্য উল্লেখিত সাইনবোর্ড স্থাপন বাস্তবায়নে পরামর্শ প্রদান করেছেন। 

সভায় সিভিল সোসাইটি কো অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যবৃন্দসহ চসিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

-সিভয়েস/এসএ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়