নাঈমের সেঞ্চুরি ও সাব্বিরের ফিফটিতে জয়ে ফিরল বাংলাদেশ
ক্রীড়া ডেস্ক
অবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে নাঈমের সেঞ্চুরি ও সাব্বিরের ফিফটিতে ক্যারিবিয়ানদের ৪৪ রানে হারিয়েছে মিঠুনের দল। এই জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ 'এ' দল। শনিবার (২০ আগস্ট) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ।
বৃহস্পতিবার রাতে আগে ব্যাট করে নাঈম শেখের ১০৩ ও সাব্বিরের ৬২ রানের ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ২৭৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় ২৩৩ রানেই অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
সেইন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এদিন ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখান ওপেনার সৌম্য। কোনো ফুটওয়ার্ক না করে অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালান সৌম্য। যা ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে সরাসরি আঘাত হানে স্টাম্পে। সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ৬ রান করেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসান নিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়েন নাঈম। ব্যক্তিগত ১৯ রানে সাইফ ফিরে গেলে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে জুটি বেঁধে রানের গতি শান দেন নাঈম। তবে অধিনায়ক মিঠুন সাজঘরের আগে দুজনে মিলে করেন ৯৩ রান। কিছুক্ষণ পর ফিরে আসেন নাঈমও। তার আগেই ৩৩তম ওভারে ১৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় সেঞ্চুরি (১০৩ রান) পূরণ করেন এ ওপেনার।
এরপর ক্রিজে নেমে শাহাদাত হোসেন দীপুর সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন সাব্বির রহমান। দীপু ২৪ রানে থেমে গেলেও সাব্বির এগিয়ে যান। তবে ৬২ রানে মাথায় থামতে হয় এ হার্ডটিারকেও। উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলি অনিক খেলেন ১২ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ শুরু করে স্বাগতিকরা। উদ্বোধনী জুটিতেই তেজনারায়ণ চন্দরপল ও জশুয়া ডা সিলভা মিলে তুলে ৯৪ রান। তবে মুকিদুল মুগ্ধ ও রেজাউর রহমান রাজার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যে ৪৪ রানের আগেই থামে ক্যারিবীয়রা।
সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন অধিনায়ক জশুয়া। এছাড়া ৩৮ রান আসে তেজনারায়ণের ব্যাট থেকে। ব্রায়ান চার্লস ৩২ ও টেডি বিশপ ৩১ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেন।
৩ উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল মুগ্ধ। ২টি নিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন রাকিবুল হাসান, সৌম্য সরকার ও খালেদ আহমেদ।
