Cvoice24.com

চবিতে সংঘর্ষের পর ‘চোখ’ খুললো প্রশাসনের, মুছে দিচ্ছে বগির নামে মারা চিকা

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:০৩, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
চবিতে সংঘর্ষের পর ‘চোখ’ খুললো প্রশাসনের, মুছে দিচ্ছে বগির নামে মারা চিকা

দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর বুক চিড়ে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপগুলোর চিকা মারা নিয়ে প্রশাসন ছিল নির্বিকার। তবে, শুক্রবার রাতে চিকা মারা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের এক ভয়াবহ সংঘর্ষের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রবিবার ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক সংগঠনগুলোর চিকাসহ সকল ধরনের দেয়াল লিখন তুলে নিতে কাজ শুরু করেছে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হল থেকে চিকা অপসারণ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী প্রক্টর এস এ এম জিয়াউল ইসলাম সিভয়েসকে বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনায়। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দিবে না প্রশাসন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বগিভিত্তিক রাজনীতি ও বগির নামে চিকা মারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে নিষিদ্ধ। তবুও কর্মীরা তাদের অবস্থান জানান দিতে হলগুলোতে চিকা মারে। অনেকসময় চিকা মারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এমনি চিকা মারার কারণে হলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এসব কিছু বিবেচনা করে হল থেকে চিকা মুছে দিচ্ছে প্রশাসন। আজকে এ এফ রহমান হলে চিকা অপসারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে হল, অনুষদ ও ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে বিভিন্ন দেয়াল থেকে চিকা অপসারণ করা হবে। ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।

চিকা অপসারণে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর মো. আহসানুল কবীর, গোলাম কুদ্দুস লাবলু, হাসান মুহাম্মাদ রোমান ও মো. শাহরিয়ার বুলবুল তন্ময়।

এর আগে গত শুক্রবার চিকা মারাকে কেন্দ্র করে এ এফ রহমান হলে রাতভর সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ ভিএক্স ও বিজয়ের একাংশ। সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি আক্রমণে উভয়ের গ্রুপের ৩৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়। ভাংচুর করা হয় আবাসিক হলের ৩৫টি কক্ষে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অন্যতম আবাসিক হল এ এফ রহমান হল। বর্তমানে এই হলের নাম পরিবর্তিত হয়ে রূপ নিয়েছে বিজয় হল নামে। শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের নামে চিকা মারায় পাল্টে যায় ৪ তলা বিশিষ্ট পুরো এই হলটি। জানা যায়, চবির ১২টি হলের মধ্যে ৮টি ছাত্রদের হল। এসব হল দখলে রয়েছে বগিভিত্তিক ছাত্রলীগের ৯টি গ্রুপের মধ্যে। বর্তমানে বগিভিত্তিক উপগ্রুপ বিজয়ের দখলে রয়েছে সর্বোচ্চ তিনটি হল- এএফ রহমান, আলাওল এবং সোহরাওয়ার্দী হল, সিক্সটি নাইনের দখলে শাহজালাল হল, সিএফসির দখলে শাহ আমানত হল, এছাড়া শহিদ আব্দুর রব হলে রয়েছে বাংলার মুখ, ভিএক্স ও কনকর্ডসহ কয়েকটি গ্রুপের অনুসারীরা। সূর্যসেন হলে রয়েছে এপিটাফ গ্রুপের অনুসারীরা। বছরের বিভিন্ন সময় বগিভিত্তিক গ্রুপগুলো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় চিকা মেরে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলের চিত্রটা ভিন্ন। পুরো হলজুড়ে চিকা মারায় পাল্টে গেছে হলটির আসল রুপ। এবার হলের সৌন্দর্য ও ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ ঝামেলা এড়াতে প্রশাসন থেকে মুছে দেয়া হচ্ছে চিকাগুলো।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়