বৈরাগের ইউনিয়ন পরিষদের ছাদে বাগান

প্রকাশিত: ১৫:২৭, ৫ মার্চ ২০১৯
বৈরাগের ইউনিয়ন পরিষদের ছাদে বাগান

বৈরাগের চেয়ারম্যানের পরিষদের ছাদে বাগান

আনোয়ারায় বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলাইমান শখের বশে বাড়ি ও পরিষদের ছাদে গড়ে তুলেছেন বাগান। বৃক্ষপ্রেমী চেয়ারম্যান মো. সোলাইমান বাড়ি ও পরিষদের ছাদে শখের বশে গড়ে তুলেন ফুল ও ফলের বাগান। এই বাগানটি শখ করে করেছেন তিনি।

পরিষদের ৩য় তলায় ও নিজ বাড়ির ছাদেও প্রায় কয়েকশত টবে বাগানটি সাজানো হয়েছে। এতে ফলজ, ওষধি ও বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষও করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান ছাড়াও তাঁর পরিষদের সদস্যরা এই বাগান পরিচর্চা করে থাকেন। ২০১৬ সালে প্রথম ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর পরিষদের ছাদে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেন এ বাগানটি। এর আগে তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্রামের বাড়ির ছাদেও এভাবে গড়ে তুলেন বিভিন্ন ফলজ ও ঔষধি গাছের বাগান। বাগান জুঁড়ে রয়েছে মালটা, আম, লেবু, কমলা, আনার, ডালিম, সফেদা, জাম্বুরা, কমলা, পেয়ারা, বেল, কতবেল, লিচু, কামরাংগা, আমড়া, জলপাই, তেঁতুল (মিষ্টি), বড়ূই, জাম্বুরা, তেজপাতা, দারুচিনি, গোল মরিচ, মেহেদি, আঙগুর, আপেল, আমলকি, গোপাল জাম, নাশপতি, আতা।

অন্যান্য গাছের মধ্যে রয়েছে গর্জন, কফপাতা, তুলসি, নিম। ফুল গাছের মধ্যে রয়েছে গোলাপ, গাদা, বেলী, পাতা বাহার, রক্তজবা, হাসনা হেনা, বাগান বিলাস, তালপাম্প। সবজির মধ্যে রয়েছে- টমেটো, বেগুন, ছোট বেগুন, মরিচ, সীম, ঝিংগা, চিচিংগা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, পুদিনসহ দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতের ফলজ ও ঔষধি গাছ রয়েছে।

বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, আমি শখের বশে ছোট বেলা থেকে বাড়ির আশেপাশে গাছ রোপন করতাম। গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে যাওয়ার পর শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও ঢাকার বাড়ির ছাদেও বাগান করেছি। চেয়ারম্যান হওয়ার পরও গাছ বাগান না করে থাকতে পারলাম না। ব্যস্ততার মাঝে এ গুলো বেশ ভালো লাগে তাই পরিষদের ছাদে বাগান করি।

বৈরাগ ইউনিয়নের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুল হুদা বলেন, পরিষদের ছাদে বাগানটি আমি পরির্দশন করে দেখেছি। মাঝে মধ্যে খোঁজ খবর নিই। বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মত যদি অন্যরা বাড়ির ছাদে বাগান তৈরী করে তাহলে বিভিন্ন সময় পরিবারের ফল ও সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

-সিভয়েস/এস

সুমন শাহ, আনোয়ারা

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়