ফটিকছড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ‘মডেল মসজিদে’ রুপান্তর হবে

প্রকাশিত: ১১:১৭, ২৪ মার্চ ২০১৯
ফটিকছড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ‘মডেল মসজিদে’ রুপান্তর হবে

প্রতীকি ছবি

ফটিকছড়ির বিবিরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদকে মডেল মসজিদে রূপান্তিরত করার উদ্যেগ নিয়েছে সরকার। ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে, দশমিক ৪৯ একর জায়গায় মডেল মসজিদটি নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এর সমন্বয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।

মনিটরিং কমিটির সর্বশেষ সভায় বলা হয়েছে ফটিকছড়িতে দশমিক ৪৮ একর ভূমির উপর নির্মিত বিবিরহাট জামে মসজিদকে মডেল মসজিদে রূপান্তরিত করা হবে। 

ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রসারে সরকার দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সংস্কৃতি সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে এসব মসজিদ ব্যবহার করা হবে। মসজিদ গুলোতে নারী-পুরুষের আলাদা অজুখানা ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে গ্রন্থাগার, সম্মেলন কক্ষ ও গবেষণা কেন্দ্র। থাকবে শিশু শিক্ষার ব্যবস্থা। অতিথিশালা ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ সুবিধাও রাখা হচ্ছে। এছাড়া মৃতদেহ গোসল করানো এবং হজ্ব যাত্রী ইমামদের প্রশিক্ষণের সুবিধাও থাকবে। 

ফটিকছড়ি পৌরসভা বিবিরহাট বাজারের কলেজ রোডে অবস্থিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদকে মডেল মসজিদে রুপান্তর করার উদ্যেগ গ্রহণ করায় উক্ত মসজিদের মুসল্লিবৃন্দ ও ফটিকছড়িবাসী আনন্দ প্রকাশ করেন এবং সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

বিবিরহাট বাজার বণিক কল্যান সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব দিদারুল বশর চৌধুরীর দুদু বলেন,ফটিকছড়ি বিবিরহাট বাজারে অবস্থিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদকে মডেল মসজিদে রুপান্তর খবরটি শুনে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমি সরকারের এ উদ্যেগকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি মনে করি ঐতিহ্যবাহি এ মসজিদকে মডেল মসজিদে রুপান্তর করা সরকারের যথাযথ উদ্যেগ। এ মসজিদ নির্মাণে বণিক কল্যাণ সমিতিরি সভাপতি হিসেবে আমার সহযোগীতা সব সময় থাকবে।  

মসজিদের উপদেষ্টা ও ফটিকছড়ি পৌরসভা মেয়র ইসমাইল হোসেন বলেন,ফটিকছড়ির প্রসিদ্ধ মসজিদ গুলোর একটি হচ্ছে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র বিবিরহাট বাজারে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মসজিদটি। এ মসজিদকে মডেল মসজিদে রুপান্তর করার সরকারের এ উদ্যেগ পৌরবাসী তথা ফটিকছড়িবাসীর জন্য খুশির খবর। মডেল মসজিদ রুপান্তরে ফটিকছড়ি পৌরসভার পক্ষে সহযোগীতা সবসময় থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বলেন,অনেক চেষ্টা তদবির শ্রমের সাধনার ফসল হচ্ছে ফটিকছড়ি মডেল মসজিদ। উক্ত মসজিদের নির্মাণ কাজ আগামী মে মাসে শুরু হবে। ইতোমধ্যে মসজিদের ভূমির পরিমাপ, মাটি পরিক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দশমিক ৪৯ একর জায়গায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন মসজিদ আল্লাহর ঘর শান্তির জায়গা মসজিদ নিমার্ণে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। এ মসজিদ নির্মিত হলে সবচাইতে বেশি উপকৃত হবে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। 

গত বছর র্ধম মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসনে চট্টগ্রামের ১৫ টি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণের চিঠি পাঠানো হয়। ফকিছড়ি উপজেলায় এ সংক্রান্ত চিঠি আসার পর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত মসজিদের নাম প্রস্তাব করেন। পরবর্তী ধর্ম মন্ত্রাণালয় উক্ত মসজিদের প্রস্তাব অনুমোদন করেন। 

ফটিকছড়িসহ চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়াার কথা রয়েছে। এসব মসজিদের নির্মাণ প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দরপত্র আহবান ও দরপত্র মূল্যায়ন জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। 

-সিভয়েস/এস

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়