Cvoice24.com

পেঁয়াজের দাম বাড়লেও কমলো রসুনের দাম

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২২
পেঁয়াজের দাম বাড়লেও কমলো রসুনের দাম

পেঁয়াজ ও রসুন। -প্রতীকী ছবি

সরবরাহ কমার অজুহাতে চায়না রসুনের কেজি ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেলেও মাসের ব্যবধানে পণ্যটি কেজিপ্রতি ৬০ টাকা কমেছে। একেতো চায়না রসুনেই মানুষের আগ্রহ। তার উপর বর্তমানে কেজিপ্রতি ৯০ টাকা হওয়ায় পাইকারিতে বিক্রিও হচ্ছে দেদারসে। তবে ভারতীয় রসুনে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকমাস আগে থেকে চীনে দাম বাড়তে শুরু করলেও পুরনো এলসি থাকায় দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। তবে ডিসেম্বরে আরেক দফা দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান আতঙ্কে এলসিও খুলেননি আমদানিকারকরা। ফলে চাহিদা অনুপাতে সরবরাহ কমায় এতদিন পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে দেশটিতে উৎপাদনের পাশাপাশি আমদানি বাড়ায় পণ্যটির দাম কমে গেছে। এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজে আমদানি খরচ বাড়ায় দামও বেড়ে গেছে। 

সোমবার (১০ জানুয়ারি) খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ খাতুনগঞ্জের পাইকারি মোকামে প্রতিকেজি দেশি রসুন ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া চায়না রসুন ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৩ থেকে ৩৪ ও মায়ানমারের পেঁয়াজ ২২ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

ছোট কোয়ার কারণে দেশি রসুন ব্যবহারের উপযোগী করতে সময় লাগে বেশি। এতে শহরে ঘরে ও রেস্তোরাঁয় চীন থেকে আমদানি করা বড় কোয়ার রসুনের ব্যবহার বেশি হয়। আমদানির চেয়ে দেশে উৎপাদিত রসুনের পরিমাণ বেশি থাকলেও দিন শেষে রসুনের দাম নির্ভর করে চীনা রসুনের ওপর।  

খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস সিভয়েসকে বলেন, রসুনের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে আমি ক্রেতাদের দায়ী করব। কারণ আমাদের দেশে উৎপাদিত রসুনের চেয়ে চায়না রসুনের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। তারা ৩০ থেকে ৪০ টাকার দেশি রসুন না কিনে ১০০ থেকে ১৫০ টাকার চায়না রসুন ব্যবহার করে। তবে দামটা এখন নাগালের মধ্যে এসেছে। ১৫০ টাকা থেকে নেমে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দামদরে না হওয়ায় মায়ানমারের পেঁয়াজ নতুন করে আমদানি বন্ধ আছে। আমাদের দেশেও বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আশা করছি পেঁয়াজের দাম আরো কমে যাবে।

-সিভয়েস/টিএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়