রামগড়ে এসডিও বাংলো নিয়ে দ্বন্দ্ব: বিজিবির সঙ্গে বসতে চায় প্রশাসন

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ৫ আগস্ট ২০২২
রামগড়ে এসডিও বাংলো নিয়ে দ্বন্দ্ব: বিজিবির সঙ্গে বসতে চায় প্রশাসন

খাগড়াছড়ির রামগড়ে এসডিও বাংলো নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিরোধপূর্ণ এসডিও বাংলো এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মো. আলীমউল্লাহ।  

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিজিবি এবং প্রশাসন দুটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান । জায়গাটিতে সরকারি স্থাপনা হলে রামগড়ের উন্নয়ন হবে। লাভবান হবে স্থানীয়রা। এখানে বর্তমানে ৩টি সরকারি অফিস এবং আরও সরকারী অফিস ভবন নির্মানের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা রয়েছে। এই জায়গাটি প্রশাসনের মালিকানায়। বিজিবির কাছে কোন কাগজপত্রও নেই। এখানে সরকারি আইনকে অসম্মান করা হয়েছে। ব্যাপারটি এমন নয়যে তারা (বিজিবি) জায়গাটি ৪০ বছর ধরে দখল করে রেখেছে। সম্প্রতি আমরা প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মার্ণের উদ্যেগ নিলে  বিজিবি আপত্তি জানিয়ে রাতারাতি কাঁটাতারের বেষ্টনী নির্মাণ করে দখল নিতে চায়এবং স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা তৈরি করছে।  সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ বিজিবির দাবিকে খর্ব করে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নিতে চিঠি ইস্যু করলেও বিজিবি তা মানছেনা। 

তবে তিনি বলেন, সবাই মিলে উদ্যোগ নিলে আইনগত ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে আমরা তাদের (বিজিবি) সাথে সমাধানে বসতে পারি। ব্যাপারটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। সেখান থেকে নিদেশনাও পেয়েছি । কে হারলো কে জিতলো ব্যাপারটি এমননা একটা সমাধান হলে দুই পক্ষেরই লাভ। সরকারি একটি বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনের দৌড়াদৌড়ির ব্যাপার নয় এটি। দরকার হলে আমরা তাদের প্রস্তাব দেবো— আসেন বসি একটা সমাধানতো বের হবে। আর এটি সবাই চাচ্ছে। 

পরিদর্শনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত, পৌর মেয়র রফিকুল আলম কামাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার ফারুক ও হাসিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী নুরুল আলম, পৌর আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, কাউন্সিলর আবুল কাশেম সহ   সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এসডিও বাংলো জায়গাটি বিজিবি কাঁটাতারের বেষ্টনী দিয়ে ঘেরাও করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের গত ২৮ নভেম্বর ২০২১ সালে বিজিবির অবৈধভাবে দখল করা স্থাপনা সরিয়ে নিতে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক খাগড়াছড়িকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু বিজিবি তা আমলে না নিয়ে গত ১ আগস্ট শ্রমিক দিয়ে মেরামত করতে গেলে উপজেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২ শ্রমিককে ৫দিনের দণ্ড দিয়ে জেলে পাঠায়। এরপরদিন বিজিবি নিজেদের সদস্য দিয়ে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে আবারও বেষ্টনী মেরামত করে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়