লালদিয়া চর উচ্ছেদে কাউকে প্রভাবশালী মনে করছে না সরকার

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
লালদিয়া চর উচ্ছেদে কাউকে প্রভাবশালী মনে করছে না সরকার

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করছেন

‘চট্টগ্রামবাসীও চায় চট্টগ্রাম বন্দর আরও আধুনিক হোক। বন্দর এলাকা পরিষ্কার করে আধুনিক বন্দর গড়তে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তবে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার আমরা হরণ করবো না। উচ্ছেদ একটা চলমান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় আমরা কাউকে প্রভাবশালী মনে করছি না। আমরা মনে করি, সরকার প্রভাবশালী। সরকার ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেবে।’ 

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের লালদিয়া চরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে  এসব কথা বলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

লালদিয়া চর নিয়ে স্বার্থান্বেষীদের তালিকা তৈরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুনর্বাসন আমরা তাদেরই করব যারা গৃহহীন। যারা সচ্ছল যারা চলতে পারে তাদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই। আমরা যাদের পুনর্বাসন করব সেই তালিকা হয়েছে। যারা এখন আছে অধিকাংশই ভাড়াটিয়া। কারা এ ধরনের সুযোগ নিয়ে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে সেটির তালিকা করেছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যারা বন্দর এলাকার জমি ব্যবহার করে অর্থ আদায় করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। গুটিকয়েক মানুষের জন্য বন্দরের সুনাম নষ্ট বরদাস্ত করা হবে না। আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। লালদিয়ার চরের ভাড়াটিয়া দিয়ে যারা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছে সেই স্বার্থান্বেষীদের তালিকা করা হয়েছে। 

উন্নয়নের কারণে কারো ক্ষতি না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার মতো পৃথিবীর কোনো বন্দরে এত জনবসতি বা যানবাহন চলাচল করে না। আমরা সেই জায়গাগুলো আধুনিকায়ন করতে যাচ্ছি। বিদেশিরা যখন আসেন, যখন দেখেন বন্দরের মধ্যে এত চলাচল, এত বস্তি, এত বাড়িঘর তখন আমাদের বন্দর প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। সংবিধানে মানুষের যে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে।  

কাউকে ঠিকানাহীন না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা একটা জিনিস বলতে চাই- অবৈধভাবে কেউ কোনো কিছু দখল করে রাখার সুযোগ নেই। কেউ যদি অপারগ হয়, কারও যদি কোনো ঠিকানা না থাকে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তাদের ঠিকানা দেবেন। কিন্তু অবৈধভাবে যারা দখল করে থাকবেন তাদের আমরা উচ্ছেদ করব। শুধু তাই নয়, যারা এতদিন যাবত এগুলো দখল করে রেখে ফায়দা লুটেছেন তাদেরও তালিকা তৈরি করেছি। সময় নিয়ে সেই সব চিহ্নিত অপরাধীদেরও আইনের আওতায় আনব। কিন্তু এ বাংলাদেশের সংবিধান মানুষের যে অধিকার দিয়েছে তা বর্তমান সরকার খর্ব করবে না।’

এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, সদস্য মো. কামরুল আমিন, সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।

সিভয়েস/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়