লকডাউনে দিনে রাতে সমানতালে চলছে গাড়ি
সিভয়েস প্রতিবেদক
৬ এপ্রিল দেওয়ান হাট ওভার ব্রিজের দুপুর ও সন্ধ্যার চিত্র।
চৈত্রের দুপুরটা রোদে খাঁ খাঁ করছে। বন্দর নগর চট্টগ্রামের যে এলাকাগুলো সারা বছর কর্মচঞ্চল থাকে, লকডাউনে অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পড়েছে সেগুলো। কিন্তু দিনের বেলায় চাকরিজীবীরা ঘর থেকে বের হয়েছেন। গণপরিবহনের অপ্রতুলতায় কষ্ট হলেও বেশি ভাড়ায় রিকশা, মোটরবাইকেই ভরসা। অন্যদিকে সকালের পর দিন দুপুরে সেই ব্যস্ততা খানিক কমলেও বিকেল থেকে অফিস ও কারখানা ছুটির পর আবারও কর্মচঞ্চল হয়ে উঠে নগরে রাজপথ।
অনেকের ধারণা চলমান লকডাউনে দিনের বেলায় মানুষের যাতায়ত বেশি থাকার কারণে যানবাহন সড়কে বেশি থাকলেও সন্ধ্যা নামলে হয়তো তা কমবে। কিন্তু সেই ধারণা ভুল। দিনে রাতে সমান তালেই লকডাউনের মধ্যেই নগরের রাজপথকে ব্যস্ত করে রেখেছে পরিবহনগুলো। এমনটাই দেখা গেছে দেওয়ানহাট ওভারব্রিজে ৬ এপ্রিল অবস্থান করে।
চট্টগ্রাম নগরের প্রধানতম ও ব্যস্ততম এ সড়কে এদিন অবস্থান নিয়ে দেখা যায়, সকাল ৭ টার পর ১০ টা পর্যন্ত যান বাহনের চাপ বাড়তে থাকে। সকাল ১০টার পর থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল কম থাকলেও লকডাউন যে চলছে তা বুঝার উপায় নেই। বিকেল ৪টার পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত স্বাভাবিকের থেকে কম হলেও প্রচুর পরিমাণ যানবাহন এ ওভার ব্রিজ পার হয়। এতেই বুঝা যায়, লকডাউনেও দিনে রাতে সমানতালে যানবাহন চলছে।
তবে নগরের অলি গলিগুলোতে সরব ছিল সকাল থেকেই। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে অলিগলিতে বাসিন্দাদের আনাগোনাও বেড়ে যায়। লকডাউনের জেরে অনেক প্রতিষ্ঠানসহ মার্কেট রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকলেও চালু ছিল অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টস। অবশ্য পোশাক শ্রমিকদের যাতায়াতে নিজস্ব পরিবহনের গাড়ি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যদিও যাত্রীদের দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সেখানে চড়ছেন তারা। অন্যদিকে জরুরি প্রয়োজনের বের হয়েও গাড়ি সংকটে দুর্ভোগে পড়েন অনেকে। তবে বিকল্প হিসেবে রিক্সা, বাইক ও সিএনজি অটোরিকশায় গন্তব্যে পৌঁছতে দিতে হচ্ছে চড়া দাম।