Cvoice24.com

বাবুল আক্তারের নির্দেশেই মিতুকে খুন করেন স্বামী মুছা—আদালতে স্ত্রী পান্না

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:২৪, ৩১ মে ২০২১
বাবুল আক্তারের নির্দেশেই মিতুকে খুন করেন স্বামী মুছা—আদালতে স্ত্রী পান্না

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের সোর্স নিখোঁজ কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছার স্ত্রী পান্না সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে বাবুল আক্তারের সঙ্গে মুছার ঘনিষ্টতা ও মিতু হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড যে বাবুল আক্তারই তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। 

সোমবার (৩১ মে) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মো. রেজার আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি। 

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মুছা বাবুল আক্তারের ঘনিষ্ঠ সোর্স ও তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াতকারী। মিতু খুনের কয়েক দিনের মধ্যেই তদন্ত সংস্থা ডিবি মুছার সম্পৃক্তা নিশ্চিত হয়ে মুসার ভিডিও ও ছবি বাবুলকে দেখায়। কিন্তু বাবুল আক্তার মুছাকে চেনার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। অথচ মুছা যে বাবুল আক্তারের সোর্স ও ঘনিষ্ঠ সেটা তদন্ত সংস্থা শতভাগ নিশ্চিত হয়।

কেন বাবুল আক্তার খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত মুছাকে না চেনার ভান ধরছেন? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গত চারমাস ধরে পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ছাড়াও এই মামলার তদন্তে একযোগে কাজ করে ঢাকার চারটি, গোপালগঞ্জ ও খুলনার দুটি ইউনিট। তারা একইসঙ্গে বাবুল আক্তার, ব্যবসায়িক পার্টনার সাইফুল ও মুসার আত্মীয় গাজী আল মামুনকে নজরদারির আওতায় আনে। এরপর গত ১২ মে পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে মুছাকে চেনার বিষয়টি স্বীকার করেন বাবুল আক্তার। এরপর ৫ দিনের রিমান্ডে বাবুল আক্তারই যে খুনের পরিকল্পনাকারী এবং মুছা তার নেতৃত্বদাতা তা পিবিআইয়ের কাছে স্বীকার করেন বাবুল। কিন্তু রাজি হয়েও শেষ মূহুর্তে গিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি সাবেক এ পুলিশ সুপার। 

এদিকে বাবুল আক্তারের গ্রেপ্তারের পর থেকে তাকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে থাকেন মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার। তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, ঘটনার পর ১৬ দিন পর্যন্ত পরিবারের সাথে ছিল মুছা। তখন, বাবুল আক্তার কয়েকটি ল্যান্ডফোন নম্বর থেকে মুছার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। এসময় মুছাকে সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শও দেন বাবুল। ধীরে ধীরে সব সামলে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয় তাকে।

পান্নার দাবি, দুই ভাইকে আটকের পর খুবই ভেঙ্গে পড়ে মুছা। এসময় মুছা সব ঘটনা ফাঁস করে দেয়ার হুমকিও দেয় বাবুলকে। এক পর্যায়ে স্ত্রীর কাছে স্বীকার করে খুনের সাথে জড়িত থাকার কথাও।

মুসার স্ত্রীর দাবি, ২০১৬ সালের ২২ জুন নগরের কাটগড় থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে মুছাকে তুলে নেয়া হয়। যদিও মুছাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে সে সময় গণমাধ্যমে মুখ খুলতে চাইলে, বাবুলের ঘনিষ্ট দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ভয়ভীতি দেখান বলেও অভিযোগ করেন পান্না আকতার।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়