Cvoice24.com


সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে সাকা চৌধুরীর ৮ হাজার কোটি টাকা!

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২০
সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে সাকা চৌধুরীর ৮ হাজার কোটি টাকা!

ছবি: সিভয়েস

দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে এক বাংলাদেশির সিঙ্গাপুরে বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ পড়ে রয়েছে। প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা পরিমাণ এই অর্থ তার পরিবার দাবি না করায় টাকা ফিরিয়ে আনতেও সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের। কে এই অর্থ পাচারকারী? সেই বিষয়ে দুদক স্পষ্ট করে কারো নাম না বললেও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হয়েছে, সেই পাচারকারী চট্টগ্রামের সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল তার। 

গেলো বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশে আলোচনার শীর্ষে বিদেশে অর্থ পাচার। ব্যাংক পাড়া থেকে আদালত, রাজনৈতিক থেকে মুদি দোকানি, সবাই জানতে চায় কানাডার বেগম পাড়া, মালয়েশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরে পাচারকারীদের নাম ও পরিচয়।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খানও ওই বাংলাদেশির পরিচয় উল্লেখ না করে অর্থ পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি সংস্থার যৌথ অনুসন্ধানে বিপুল এই অর্থের খোঁজ মিলেছে। অর্থ ফেরানোর চেষ্টা করছে সরকার। আমি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করতে চাচ্ছিনা। অবশ্যই সত্যতা আছে, আরো বেশি টাকা হয়তো আমরা আনতে পারবো। আইনি প্রক্রিয়াটি একটু জটিল। তবে আনা যায়, একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পাচারের মামলা, লন্ডারিং মামলা প্রত্যেকটাই আমরা সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।’

তবে অনুসন্ধান বলছে, বেঁচে থাকতেও যে লোকটা ছিলেন আলোচনার শীর্ষে ছিলেন। ফাঁসিতে ঝুলার পরও কিনা সেই ব্যক্তিই ফের আলোচনায়। এক দুই টাকা নয়, লক্ষ কোটিও নয়, বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ পাচার করেছেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ‍ঝুলা বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। জীবদ্দশায় এই ব্যক্তিই কি না সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ। যা এখন রক্ষিত আছে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন ব্যাংকে। পাচার হওয়া এই অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যদিও এই আইনি প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ বলে জানান দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

বিদেশে পাচার করা সব টাকাই ফেরত আনার উদ্যোগের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিনও। মুদ্রা পাচারের পরিসংখ্যান বলছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ২৭ লাখ ডালার পাচার হয়। বর্তমান বাজার দরে যা ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এসব অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক দুদক ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়।

প্রসঙ্গত, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া, চট্টগ্রাম-২, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৭ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বরে ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দণ্ডাদেশ অনুযায়ী সাকা চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়