Cvoice24.com


চবির স্থগিত পরীক্ষা এ মাসেই

প্রকাশিত: ০৯:২১, ২ ডিসেম্বর ২০২০
চবির স্থগিত পরীক্ষা এ মাসেই

ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্থগিত থাকা পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আগেই নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সকল দিক বিবেচনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান সিভয়েসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এর আগে, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। 

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, শীঘ্রই পরীক্ষার বিষয়ে বিভাগ-ইন্সটিটিউটগুলোতে চিঠি দেওয়া হবে, নিজ নিজ বিভাগ পরীক্ষার আয়োজন করবে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার নোটিশ বা অন্যান্য বিষয় সামনে আসবে। আর ডিসেম্বরের মধ্যেই পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন :  চবি : পরীক্ষার তারিখ না দিলে আমরণ অনশন

বিসিএস পরীক্ষার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, সরকার বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, এজন্য শিক্ষার্থীরা চিন্তিত। কিন্তু ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সরকার যদি বিসিএসের বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করে তাহলে ভালো হয়। 

তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ভালো চাই। তারা তাদের দাবি উত্থাপন করেছে, কিন্তু আমরা কোন কিছু বিবেচনা না করেই যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে এনে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তখন কে দায় নিবে? এজন্য আমাদের ধীরে সুস্থে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও স্বশরীরে ডিসেম্বরেই পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া সম্ভব হবে না।

এর আগে, মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের নেতা ফোরকানুল আলম প্রশাসনকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেন। ওই সময় তিনি বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থগিত পরীক্ষাসমূহ নেওয়ার ব্যাপারে যদি তারিখ ঘোষণাপূর্বক সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা না আসে, তাহলে আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে আমরা আমরণ অনশনে যাব।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিভিন্ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষসহ অন্যান্য বর্ষের চলমান ও তারিখ নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করায় শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকবার স্মারকলিপি পেশ ও মানববন্ধন করেছে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৫ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। তবে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি কমিটি গঠিত হলেও এর কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। 

চবি প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়