আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
ক্রীড়া ডেস্ক
বাংলাদেশের মেয়েদের ব্যাটি বোলিং ও ফিল্ডিং সমন্বয়ে শিরোপাটি জিতে নেয়
আগেই টিকিট নিশ্চিত হয়েছে ২০২৩ সালে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার। তবে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটা বাকি ছিল। ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে সেটাও জিতে নিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তাতেই বাছাইপর্বে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নের তকমাটাও পকেটে পুরে নিল বাংলাদেশ।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুবাইতে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ড নারী দল।
দুবাইতে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ১২০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ নারী দল। লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেটে ১১৩ রানে আটকে যায় আয়ারল্যান্ড ইনিংস।
১২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সালমাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। কোন টপ অর্ডারের ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারেননি রানের চাকা। তবে ইমিয়ার রিচার্ডসন এবং ম্যারি ওয়ালডল দলকে তুল গিয়েও ব্যর্থ হন।
শেষদিকে চারা মুরারি ও আরলিনে কেলি জুটি গড়ে টাইগ্রেসদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে শেষ ওভারে নাহিদার নিয়ন্ত্রিত বোলিং আইরিশ দুই ব্যাটারের পরিকল্পনায় পানি ঢেলে দেয়। তাতেই ৭ রানের শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। টাইগ্রেসদের পক্ষে রোমানা ৩টি, সানজিদা আক্তার মেঘলা, নাহিদা আক্তার ও সোহালি আক্তার নেন ২ টি করে উইকেট।
এর আগে ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ৬ রান করে ফিরে যান ওপেনার মুর্শিদা খাতুন,।
তবে আরেক ওপেনার ফারজানা হক দারুণ এক ইনিংস। এক প্রান্ত আগলে রেখে মেরেছেন একের পর এক বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত এ ব্যাটার আউট হওয়ার আগে করেন ৬১ রান। এদিন ব্যর্থ হন অধিনায়ক জ্যোতিও। আউট হয়েছেন মাত্র ৬ রানে।
অন্যদের মধ্যে রোমানা আহমেদ ছাড়া আর কোন ব্যাটার রানের পসরা খুলতে পারেননি। এ ব্যাটার করেন ২১ রান। নারী দলের স্কোরবোর্ডে ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে রান গিয়ে ঠেকে ১২০-এ। আইরিশদের হয়ে ডেলানি ৩টি এবং আরলেনি কেলি ও চারা মুরাই দুইটি করে উইকেট নেন।