Cvoice24.com

মিরাজের মহাকাব্যিক সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
মিরাজের মহাকাব্যিক সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ

মেহেদি হাসান মিরাজ। ছবি: সংগৃহীত

খাদের কিনারা থেকে এদিনও দলকে টেনে তুললেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করলেন মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরাজের সঙ্গে ১৪৮ রানের জুটির পর থামে মাহমুদউল্লাহ। এরপর নাসুমকে সঙ্গে নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আর সেই সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে এনো দিল ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।

আজ বুধবার বেলা ১২টায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তবে প্রথম ওয়ানডের মতো এদিনও দেখা গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা। ১৮.৬ ওভারের মধ্যে ৬৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মেহেদি হাসান মিরাজ দলকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখালেন। মিরাজ পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। মাহমুদউল্লাহর হাফসেঞ্চুরিটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৭তম। সপ্তম উইকেটে তারা ১৬৫ বলে গড়েন ১৪৮ রানের জুটি। যে কোনো উইকেটে যেটি কিনা ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড।

লিটনের সঙ্গে আজ ওপেন করেন এনামুল হক বিজয়। শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু সেই ভালোটা বেশিক্ষণ রইলো না। ৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১১ রান করা বিজয় জীবন পেয়েও সেটা হেলায় নষ্ট করলেন।

মোহাম্মদ সিরাজের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু রোহিত শর্মা সেই ক্যাচ ফেলে দেন। হাতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। পরের বলেই আউট বিজয়।

ওভারের পঞ্চম বলটি বিজয়ের প্যাডে বল লাগলে আবেদন করেন সিরাজ, আম্পায়ারও আঙুল তুলে দেন। অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে পরামর্শ করে রিভিউ নিয়েছিলেন টাইগার ওপেনার। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বল মিডল স্টাম্পে আঘাত হানতো।

এনামুল হক বিজয়ের পর লিটন দাসকেও সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সিরাজ। ভারতীয় এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক (২৩ বলে ৭)।

ইনিংসের ১২তম ওভারে উমরান মালিক বল হাতে নিয়েই গতিতে ঝড় তুলেছেন। সাকিব আল হাসানকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে সামলাতে। এক ওভারেই কয়েকবার পরাস্ত হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে ওই ওভারটি মেইডেন দিলেও আউট দেননি সাকিব।

এক ওভার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে পেয়ে আর উইকেট তুলে নিতে দেরি করেননি উমরান। প্রথম বলেই তিনি ১৫১ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতির এক বলে ভেঙে দেন শান্তর স্টাম্প। ৩৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২১ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

এরপর সাকিব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ওয়াশিংটন সুন্দরকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আকাশে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২০ বলে ৮ রানেই থামে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ইনিংসটি।

এরপর এক ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। মুশফিক খেলছিলেন বেশ দেখেশুনে। সুন্দরের ঘূর্ণিতে তার প্রতিরোধও ভেঙে যায় ১৯তম ওভারে। মুশফিক ডিফেন্ডই করেছিলেন। বল তার গ্লাভসে লেগে শর্ট লেগ ফিল্ডার ধাওয়ানের হাতে চলে যায়।

২৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। সুন্দরের তার ঠিক পরের বলেই আফিফ হোসেন লাইন মিস করে হন বোল্ড (০)।

১৯ তম ওভারে ৬৯ রানেই নেই ৬ উইকেট। বাংলাদেশের জন্য বড় লজ্জাই অপেক্ষা করছিল। তবে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর আগের ম্যাচের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়