Cvoice24.com

সাংবাদিকদের সদুত্তর দিতে না পারায় চাইল্ড কেয়ারের ঘটনা পুনতদন্তের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ১১:৫১, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
সাংবাদিকদের সদুত্তর দিতে না পারায় চাইল্ড কেয়ারের ঘটনা পুনতদন্তের সিদ্ধান্ত

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবর রহমান। ছবি: মিনহাজ জন্টু

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে না পারে পুণ: তদন্ত হবে চাইল্ড কেয়ার হাসপাতালে শিশু বদলের ঘটনার।  তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আজকে বিকাল ৪টায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার তদন্ত কমিটি। কিন্তু এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় পুণ:তদন্তের সিদ্ধান্ত নিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে বেসরকারি ক্লিনিক পরিদর্শন কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হক।

পুণ:তদন্ত কমিটিতে  আগের কমিটির সাথে সিভিল সার্জন ও চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক এএম মজিবুল হক সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবেন।

প্রসঙ্গত, ১৭ এপ্রিল,মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নোয়াখালী থেকে আসা রোকসানা আকতার (২১)’এর নবজাতক কন্যাশিশুকে রেখে অপর একটি ছেলে শিশুর মরদেহ দেওয়া হয়। পরে জানাজার জন্য গোসল করানোর সময় মূল ঘটনা ফাঁস হয়। এরপর তারা রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় আসেন। তারপর  থানার হস্তক্ষেপে বুধবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে শিশুর মরদেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসল কন্যা সন্তান ফেরত দিতে বাধ্য হয় চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষ ।  পরে ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে মৌখিক শর্তের ভিত্তিতে শিশুর পরবর্তী খরচের ৮০ভাগ টাকা চাইল্ড কেয়ার বহন করার কথা ছিলো। সেই শর্তে, উদ্ধার হওয়া শিশুটি জিইসির বেসরকারি রয়েল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তিন দিন রাখার পর শিশুর পরিবারের আর্থিক অসংগতির বিষয় বিবেচনা করে শনিবার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের উদ্যোগে চমেকে নিয়ে আসা হয় শিশুটিকে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে বেসরকারি ক্লিনিক পরিদর্শন কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হকের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিভিল সার্জন।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথকে আহ্বায়ক ও একই হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলমকে সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা শাহেদুল ইসলামকে সদস্য করা হয় কমিটিতে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার সময় বেঁধে দিলেও পরদিন শুক্রবার থাকায় তা জমা দিতে পারেনি কমিটি। আবার সপ্তাহের প্রথম দিন রোববারও প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়নি তদন্তকাজ বাকি থাকায়।অবেশেষে তদন্ত কমিটি গতকাল ২৩ এপ্রিল বিকেল ৫ টায় স্বাস্থ্য দপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. এএম মজিবুল হকের কাছে  প্রতিবেদন জমা দেন।  

এরই প্রেক্ষিতে আজ বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যালয় সংবাদ সম্মলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে না পেরে তদন্তের অসংগতি দেখে পুণ:তদন্তের সিদ্ধান্ত নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. অসীম কুমার নাথ, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

তদন্ত প্রতিবদনে বলা হয়, বাচ্চাটি চুরি নয়। ভুল বশত হয়েছে। সেখানে হাসপাতাল নয় সংশ্লিষ্ট চারজন নার্সের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।

_সিভয়েস/এইচআর

9

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়