Cvoice24.com

বাঁশখালীর অনাবাদি জমিতে টাঙানো হচ্ছে লাল পতাকা

বাঁশখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ১০ নভেম্বর ২০২২
বাঁশখালীর অনাবাদি জমিতে টাঙানো হচ্ছে লাল পতাকা

অনাবাদি জমিতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিচ্ছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অনাবাদি জমি খুঁজে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন। 

বৃহস্পতিবার উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর ও বৈলছড়ির বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে বেশ কয়েকটি অনাবাদি জমিতে লাল পতাকা সতর্কতা ব্যানার টাঙিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা  অনুযায়ী জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণে ও অনাবাদী পতিত জমি আবাদের আওতায় আনতে বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি, কালীপুর,পুকুরিয়া, গুনাগরি, সাধনপুর  ইউনিয়নে তিন বছরের অধিক সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন অনাবাদি জমিতে সতর্কতা স্বরুপ লাল পতাকা ও ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতি শিগগিরই  সমগ্র বাঁশখালী উপজেলায় তিন বছরের অধিক সময় অনাবাদি সকল জমি খাস করার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সাইদুজ্জান চৌধুরী বলেন, চাষযোগ্য জমি অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না। জমির শ্রেণি অনুযায়ী ফসল উৎপাদন করতে হবে। কোনো কৃষি জমি পরপর ৩ বছর অনাবাদি থাকলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার বিধান রয়েছে। কোনো ব্যক্তি তার জমি কৃষি কাজে ব্যবহার না করে পতিত রাখলে উক্ত জমি রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ৯২ (১)(গ) ধারা মোতাবেক খাস করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দেশের আবাদযোগ্য সব জমি আবাদের আওতায় আনার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে, “জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো জমিই আবাদের বাইরে রাখা যাবে না।” এ সংক্রান্ত আদেশ আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। ফলে তারিধারাবাহিকতায়  অতিসত্ত্বর এ বিষয়ে পুরো উপজেলায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়